Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়েকে তুলে নিতে এসে বাবাকে হত্যার ঘটনায় মামলা

গ্রেপ্তার

মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিতে আসা বখাটেদের বাধা দিতে গিয়ে বাবা ছায়েদ আলী খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে চারজনকে। এঁদের মধ্যে ঘটনার দিনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন মূল হোতা রনিসহ সাকিম নামের আরেক যুবক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার অপর আসামিরা হলেন নিহত ছায়েদ আলীর ভাতিজা জিহাদ ও প্রতিবেশী আরেক যুবক জিহাদ। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) রোববার রাতে মামলাটি করেন। আসামিদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে বলে গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে বগুড়া শহরতলির নিশ্চিন্তপুর এলাকার বখাটে রনি আহমেদ দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এরই মধ্য বিয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত শনিবার রাত আটটার দিকে কয়েকজনকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে তুলে নিতে আসেন রনি আহমেদ। এতে ভয়ে ঘরের ভেতরে লুকিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এ সময় বখাটেদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেন ছায়েদ আলী। একপর্যায়ে তাঁরা ছায়েদ আলীর পাঁজরে চাকু বসিয়ে দেন। ওই দিন রাত নয়টার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছায়েদ আলীর মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ছায়েদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার পর বখাটেদের কয়েকজন পালিয়ে যেতে পারলেও স্থানীয় লোকজন রনি ও সাকিমকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, এ মামলার অন্য আসামি ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ছায়েদ আলীকে খুনের ঘটনায় রোববার রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়েই বখাটেদের হাতে প্রাণ দিতে হলো বাবাকে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।