Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রতারণার অভিযোগে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার মোশারফ হোসেন

সিআইডি কর্মকর্তা সেজে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতেন তিনি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইমো, টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। নিজের পরিচয় দিতেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক হিসেবে। এরপর ওই তরুণীদের কাছ থেকে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করতেন। পরে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।

এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোশারফ হোসেন ওরফে নয়ন (৩০) নামের ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। গতকাল বুধবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সিআইডি বলেছে, মোশারফের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন, সিআইডির জ্যাকেটের মতো একটি জ্যাকেট, একটি ওয়াকিটকি, একটি নকল পিস্তল, সিআইডির ভুয়া পরিচয়পত্র এবং একটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। তাঁর স্মার্টফোনে অনেক তরুণীর ব্যক্তিগত ভিডিও ফুটেজ ও ছবি পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোশারফ হোসেন সুযোগ বুঝে মেয়েদের ভিডিও কল করে, কৌশলে তাঁদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতেন। পরে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করাই ছিল তাঁর কাজ। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) বিষয়টি অনুসন্ধান করে মোশরফকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্মার্টফোনে পাওয়া ছবি ও ফুটেজের বিষয়ে তিনি স্বীকার করেছেন।

সিআইডির ভাষ্যমতে, মোশারফ হোসেন সিআইডি পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন দরজির সঙ্গে সখ্য গড়ে সিআইডির জ্যাকেটের আদলে জ্যাকেট তৈরি করেন। এ ছাড়া অনলাইনের মার্কেটপ্লেস থেকে ওয়াকিটকি ও পিস্তলসদৃশ গ্যাসলাইটার হোম ডেলিভারি নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে।

কেউ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে ০১৩২০০১০১৪৮ মুঠোফোন নম্বর এবং cyber@police.gov.bd ই-মেইলে যোগাযোগ করতে বলেছে সিআইডি।