
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম ওয়াশিংটনের মিশনে কাজ শুরু করেছেন। গত ৩১ আগস্ট তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ১৯ জুন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা আসাদ আলম সিয়ামকে পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই মাসেই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকার জেনেভায় বাংলাদেশের জাতিসংঘ দপ্তরগুলোতে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে থাকা তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়। জুন মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথমার্ধে তারেক মো. আরিফুল ইসলামের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করার কথা রয়েছে। তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করবেন।
বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা তারেক মো. আরিফুল ইসলাম ২০২৪ সালের জুনে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাদার এই কূটনীতিক এর আগে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এবং কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে কাজ করেছেন।
তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৮ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে কূটনীতি ও বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।