
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজে বাধা দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সারোয়ার উর আলমের করা মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার শৌন লোহঘর মৌজার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম বিলায়েত আলী (৮৪)। তিনি খলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় করা মামলায় বিলায়েত আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন, মেয়ে মনোয়ারা বেগম, নাতি ফারুক মিয়াকে আসামি করা হয়। আর আহত সারোয়ার উর আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শৌন লোহঘর মৌজায় খাস জায়গায় বিলায়েত আলীসহ অনেকের পরিবার ভোগদখল করে দীর্ঘদিন বসবাস করছে। প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলা প্রশাসন জায়গাটি উদ্ধার করে। জায়গাটি উদ্ধারের পর উপজেলা প্রশাসন সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাই ওই জমিতে মাটি ভরাট ও চারপাশে বাঁশ লাগানোর কাজ চলছিল।
রোববার দুপুরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে যান মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সারোয়ার উর আলম। প্রশাসনের উদ্ধার অভিযানের জন্য সেখান থেকে চলে যেতে হয়েছে বলে বিলায়েত আলী ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাঁশ-লাঠি দিয়ে সারোয়ারের ওপর হামলা চালান। তাঁরা সারোয়ারকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে দা দিয়ে মারতে সরোয়ারের দিকে তেড়ে যান। হামলাকারীরা সারোয়ারের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। সারোয়ার একপর্যায়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
খবর পেয়ে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনেন। শনিবার বিকেলে সারোয়ার চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিলায়েতকে গ্রেপ্তার করে।
মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য জায়গা উদ্ধার করায় তাঁরা সারোয়ারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। রোববার দুপুরে কাজ তদারকি করতে গেলে তাঁরা বাঁশ ও দা নিয়ে সায়োরের ওপর হামলা চালান।