Thank you for trying Sticky AMP!!

তালাকনামা পাঠানোয় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

হত্যা

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় এক যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তালাকনামা পাঠানোর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করছে।

নিহত ব্যক্তির নাম আজগার আলী সরদার (৫৫)। তিনি দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একজন কৃষক। আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজগার আলীর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে আজগার আলীর মেয়ে শিল্পী খাতুনের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার বরেয়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সালাহউদ্দিনের (২৭) বিয়ে হয়। সালাহউদ্দিন বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিস হয়েছে। তবে এরপরও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় ১০ দিন আগে শিল্পীর মা–বাবা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে শিল্পীর পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিনকে তালাকনামা পাঠানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সালাহউদ্দিন দু–তিন ধরে দিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন বলে শিল্পীর পরিবার অভিযোগ করে।

আজগার আলীর ভাই আক্তার হোসেন বলেন, তাঁর ভাই গতকাল রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে প্রতিদিনের মতো ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত একটার দিকে সালাহউদ্দিন দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আজগারকে জখম করে পালিয়ে যান। পরে আজগারের চিৎকারে তিনিসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর পাঁচটার দিকে আজগার মারা যান।

আজগার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বলেন, সালাহউদ্দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্বশুরকে হত্যা করছেন। তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে ভিসা করিয়ে রেখেছেন। যেকোনো সময় সালাহউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন তিনি।

এ ঘটনার পর থেকে সালাহউদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে আজগার আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হবে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।