
দিনাজপুর জেলায় গত মাসে ৭ হাজার ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৬৬২ জনের। শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। চলতি মাসের ১২ দিনে ৬ হাজার ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, গত মাসের শেষ সপ্তাহে শনাক্তের হার ছিল ৪০-৪৫ শতাংশ। সেখানে জুলাই মাসের এই কয়েক দিনে শনাক্তের হার নেমেছে ২৫-৩০ শতাংশে। কঠোর বিধিনিষেধ এবং লকডাউনে কিছুটা হলেও যে সুফল পাওয়া গেছে, তা শনাক্তের হার দেখে বোঝা যায়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলায় নতুন করে ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৩৫৬। আজ সোমবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ এজাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯৪ জনের। এর মধ্যে ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। আজ পর্যন্ত এ জেলায় করোনা রোগী আছেন ২ হাজার ১৭৫ জন। শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৪ জন, উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৫৭ জন। অন্যরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৭ জুন সপ্তাহব্যাপী মানুষ ও যান চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। পরবর্তী সময়ে ১৫ জুন সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে লকডাউনের সময় বাড়িয়ে তা চলে ২৮ জুন পর্যন্ত। এরপর থেকে দেশব্যাপী লকডাউন কর্মসূচির আওতায় পড়ে দিনাজপুর জেলা।
শুরুতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতায় শহরে মানুষসহ যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত পাঁচ দিন ধরে শহরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। দোকানের অর্ধেক শাটার বন্ধ রেখে অনেক সময় শাটার বন্ধ রেখে ভেতরে থাকছেন বিক্রেতা।
শহরের গণেশতলা এলাকায় পোশাক বিক্রেতা মিনার হোসেন (৩৮) বলেন, ‘ভাই সামনে ঈদ। ছেলেমেয়ে নিয়ে কার কাছে চাইতে যাব। দোকানের ভাড়াও তো পরিশোধ করতে হচ্ছে। বেচাবিক্রি না থাকলে খাব কী, ভাড়া দেব কী?’