
সশরীর পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের অবশেষে নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি পৌঁছে দেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নাম, বাড়ি ও অন্যান্য তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান। তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বরিশালে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরিবহনসেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাল বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে সংযুক্ত লিংকে (http://transportservice.bu.ac.bd/) নিজের তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি ছাড়ার সময়সূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৪ জুলাই রাত ১০টার মধ্যে জানানো হবে। ১৫ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিম্নোক্ত রুটে বাস ছেড়ে যাবে। এসব রুট হচ্ছে বরিশাল-গৌরনদী-গোপালগঞ্জ–খুলনা-সাতক্ষীরা রুট, বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট–যশোর রুট, বরিশাল-ফরিদপুর-মাগুরা-ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রুট। বরিশাল-মাওয়া ফেরিঘাট-ঢাকা (গুলিস্তান) রুট এবং বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা (আমতলী) রুট।
করোনায় সেশনজটে শিক্ষাজীবন এমনিতেই চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ নিয়েছিল সশরীর ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার। গত ২৪ জুন স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত পর্বের (সেমিস্টার ফাইনাল) পরীক্ষা সশরীর শুরু হয়। দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ২৭ জুন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এমন অবস্থায় পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে বিপাকে পড়েন। একে তো হলে থাকার সুযোগ নেই, তার ওপর বিধিনিষেধে সব যান চলাচল বন্ধ। তাই বাড়িতে যেতে পারছেন না এ শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত সারওয়ার খান বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকেরা বলেছিলেন, এই বছরের মার্চে পরীক্ষা হবে, কিন্তু আবার কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নাস্তানাবুদ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছিল। তারপর আবার পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দেওয়া হয় জুনে। সবাইকে বরিশাল আসতে বলা হলো, আমরাও এলাম, আবার বাসাভাড়া নিলাম, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হওয়ায় পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল। এখন বাড়ি যাওয়া নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।’
এ নিয়ে ৫ জুলাই ‘পরীক্ষা দিতে এসে আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে গাড়ি চান’ শিরোনামে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়।