পদ্মা সেতুতে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে আরও ২৩ মোটরসাইকেলচালককে জরিমানা
নিয়ম লঙ্ঘন করে পদ্মা সেতুতে নির্দিষ্ট লেনের বাইরে গিয়ে মোটরসাইকেল চালানো, এক মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠা, হেলমেট ব্যবহার না করা, সেতুতে দাঁড়ানো এবং ছবি তোলার দায়ে আরও ২৩ মোটরসাইকেলচালককে ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ এসব জরিমানা করে।
মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. বজলুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেতুতে না দাঁড়ানো, সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি না তোলা, লেন পরিবর্তন না করা, দুজনের বেশি যাত্রী মোটরসাইকেলে না ওঠার বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। অন্যদিনের মতো আজও সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেতুতে কাজ করছিল। ওই ২৩ ব্যক্তির মধ্যে কেউ কেউ নিয়ম না মেনে সেতুর বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে ছবি তুলছিলেন। আবার কেউ কেউ নির্ধারিত লেন অতিক্রম করে অন্য যানবাহন চলার লেনে চলে যাচ্ছিলেন, আবার এক মোটরসাইকেলে তিনজনও উঠেছিলেন। এ ছাড়া কারও কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছিল না। এসব কারণে ওই চালকদের সড়ক পরিবহন আইনে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে পদ্মা সেতুতে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে ২১ এপ্রিল ৯ মোটরসাইকেলচালককে ২৭ হাজার টাকা, ২২ এপ্রিল ৩ জনকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ। আর আজ ২৩ জনকে ৭১ হাজারসহ তিন দিনে ৩৫ জন মোটরসাইকেলচালক মোট ১ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা গুনলেন।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কাউকে জরিমানা করতে চাই না। আমরা চাই সেতুতে সব সময় মোটরসাইকেল চলাচল করুক। এ জন্য সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের যেসব নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সবাইকে সে নিয়ম মানার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে প্রসিকিউশন মামলার মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়েছে। সর্বনিম্ন একজন সার্জন পদমর্যাদার কর্মকর্তা এ জরিমানা করতে পারেন। আজ জরিমানার সময় তিনজন ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শকও উপস্থিত ছিলেন।