
ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে জাতিগত বিভাজন জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তাঁরা এ কথাগুলো বলেন। জাতিগত বিভাজন জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা ও এনসিটিবির সামনে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ–সংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে দুই পক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আজ দুপুরে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে হাতাহাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বিগত সময়ে বাংলাদেশের সব মানুষকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত করে রাখার চেষ্টা করেছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে ধর্মীয়ভাবে, বাঙালি-অবাঙালি বলে বিভাজিত করার চেষ্টা করেছে। এই দেশে অনেক ধর্মের, মতের, বর্ণের, মতাদর্শের মানুষ বসবাস করে। সবার অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করতে হবে।’
রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এ দেশে সব জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ব্যানারে নতুন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা উঠে আসছে। সবার আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। আমরা সবার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে কাজ করব।’
উল্লেখ্য, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে আজ সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি নামের একটি সংগঠন। অন্যদিকে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল মানুষ পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান।
সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি পালনকারীরা বলেন, তাঁদের ওপর স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি হামলা চালিয়েছে। যদিও স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এদিকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ওপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।