রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবন

রাকসু ও সিনেট নির্বাচন

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থীসহ ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের’ নির্বাহী সদস্য সনাতন ধর্মাবলম্বী সুজন চন্দ বাদ পড়েছেন।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে ২৬০ জন ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। রাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন পদে ২৫৫ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। প্রার্থিতা বাতিল হওয়া অন্য পদপ্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাগর আহমেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আশিকুর রহমান, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক শাহীন আলম, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রিসার্চ চাকমা। এ ছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদের দুই প্রার্থী মারুফ হাসান জেমস এবং ওমর ফারুক সাফিন।

তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, মনোনয়নপত্রে অসংগতি, তথ্যের ভুলসহ বিভিন্ন কারণে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী রাকসু নির্বাচনের জন্য সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬০ জন লড়বেন।

রাকসুর অন্যান্য পদের মধ্যে ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে ৯ জন, সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে ৬ জন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সহকারী সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ৭ জন, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে ৮ জন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৮ জন, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক পদে ১০ জন, সহমিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ১০ জন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ০৬ জন, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ৭ জন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ৮ জন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন এবং সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়বেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যপদে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ৭ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পেছনে ব্যাংক রসিদ, স্বাক্ষর, ছবি, ডোপ টেস্ট রিপোর্ট না থাকা অন্যতম কারণ। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামীকাল আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন। আপিল পেলে কালই তা নিষ্পত্তি করা হবে। এরপর আর এই সুযোগ থাকবে না। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হলে তাঁর প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।