নেত্রকোনায় সাত বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এরশাদ আলী (৬২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকা থেকে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী শিশুটি নেত্রকোনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সে এরশাদ আলীর উঠানে খেলা করছিল। এ সময় এরশাদের বাড়িতে লোকজন ছিল না। শিশুটিকে তিনি ডাক দেন। তিনি সোনার আংটি ও ১০০ টাকা শিশুটিকে দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখান। পরে শিশুটি তাঁর ঘরে গেলে ধর্ষণ করেন। শিশুটি কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ অবস্থায় তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাজহারুল আমিন বলেন, বাচ্চাটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ মানসিক কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। সে স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।
মেয়েটির মা বলেন, ‘এরশাদ আলী মন্দ প্রকৃতির লোক। তিনি আমার নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়েটিকে আংটি ও টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, অভিযুক্ত এরশাদ আলীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রোববার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে নেত্রকোনায় আনা হচ্ছে।