Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেনীতে ধরা পড়ল তিন ও আড়াই কেজি ওজনের ২১টি ইলিশ

২১টি ইলিশের মধ্যে ৮টির ওজন প্রায় ৩ কেজি করে

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বড় ফেনী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে তিন ও আড়াই কেজি ওজনের ২১টি ইলিশ। ওজন করে দেখা গেছে, ওই ২১টি ইলিশের মধ্যে ৮টির ওজন প্রায় ৩ কেজি করে। অপর ১৩টিরও ওজন প্রায় আড়াই কেজি করে। একই জালে ধরা পড়েছে আরও ছোট-বড় প্রায় ১৪ কেজি ইলিশ। সব মিলিয়ে জেলেদের জালে প্রায় ১ মণ ৩০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে জেলেদের জালে দুই কেজি ওজনের শতাধিক ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মাছগুলো জালে আটকা পড়ে। পরে মাছগুলো নদীর তীরে আড়তে নিয়ে নিলামে তোলা হলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ ও আবদুল মান্নান যৌথভাবে ১ মণ ৩০ কেজি ইলিশ ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। পরে তাঁরা পৌর শহরের মাছ বাজারে এনে সব মাছ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার আর্দশগ্রাম এলাকার জেলে মো. মানিক মিয়াসহ সাত-আটজন জেলে একটি ট্রলার নিয়ে গতকাল সকালে মাছ ধরতে বড় ফেনী নদীর শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোয়ার কমতে থাকায় জালে আচমকা টান মারলে বুঝতে পারেন, বড় কিছু আটকা পড়েছে। পরে জাল টেনে নৌকায় তুলতেই সবাই দেখতে পান, বড় বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। একই সঙ্গে ছোট ইলিশও ধরা পড়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, নিলামে মাছগুলো কেনার পর ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি মাছগুলো নিয়ে পৌর শহরের মাছ বাজারে যান। বাজারে উৎসুক অনেকে বড় ইলিশ মাছগুলো দেখতে ভিড় করেন। আবার অনেকে শখ করে বেশি দাম হলেও দু–একটি মাছ কিনে নেন।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ ও আবদুল মান্নান যৌথভাবে ১ মণ ৩০ কেজি ইলিশ ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন

নেয়ামত উল্যাহ বলেন, ৩ কেজির ইলিশের প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং আড়াই কেজি ওজনের ইলিশের প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা দর হাঁকান। পরে রাত ১১টা পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ ও ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মাছগুলো বিক্রি করেন। এ ছাড়া অন্য ইলিশগুলো ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।

হারুন উর রশিদ নামে এক ক্রেতা বলেন, তিনি ২০ বছর ধরে প্রবাসে থাকেন। তিন কেজি ওজনের এত বড় ইলিশ মাছ তিনি আগে কখনো দেখেননি। তাই বাজারে আসার পর বড় ইলিশ মাছ দেখে শখ করে ৩ কেজি ওজনের ৪টি ইলিশ ২০ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছেন। মাছগুলো দেখে বাড়ির সবাই খুব খুশি হবে।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা প্রথম আলোকে বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ মৌসুমে নদীতে একাধিকবার তিন কেজি, আড়াই ও দুই কেজি ওজনের বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। তবে সামনে আরও বড় মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তিনি।