পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে দুই দম্পতিসহ মোট পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বড়শশী সীমান্তের ৭৭৭ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব–পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাজীপাড়া এলাকায় তাঁদের আটক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরে মামলা দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজনের সঙ্গে তিন শিশুকে দেওয়া হয় স্বজনদের হেফাজতে।

আজ সোমবার দুপুরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন বড়শশী বিওপির কমান্ডার সুবেদার এ কে এম আজাদ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে বোদা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে মোট আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ বছর, ৫ ও ১০ বছর বয়সী তিন শিশুকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য পাঁচজনকে বোদা থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। তাঁদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ছোট চণ্ডীপুর এলাকার বিশ্বজিৎ রায় (২৭), তাঁর স্ত্রী খুশি রায় (২৩), কাহারোল উপজেলার তেলিয়ান এলাকার রতন রায় (৩০), তাঁর স্ত্রী চন্দনা রানী রায় (২৮) ও পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার উৎকুড়া এলাকার বাসিন্দা সুজন রায় (২১)।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে বিজিবির বড়শশী বিওপির আওতাধীন ৭৭৭ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব–পিলার–সংলগ্ন কাজীপাড়া এলাকা দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন, এমন গোপন সংবাদ পায় বিজিবি। পরে বিজিবির বড়শশী বিওপির টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন শিশু, দুই নারীসহ আটজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে একাধিক দালাল চক্রের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকায় এসেছেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তিনটি মুঠোফোন ও বাংলাদেশি ৪ হাজার ৫৮৪ টাকা জব্দ করা হয়।

আজ দুপুরে বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজওয়ানুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে (পাসপোর্ট আইনে) একটি মামলা করেছে বিজিবি। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচজনকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।