
আকাশজুড়ে ড্রোনের আলোর খেলা। ‘শাপলা ম্যাসাকার’, ‘আওয়াজ উঠা’সহ ভেসে উঠল বিভিন্ন নাম ও প্রতীক। আলো-ছায়ার মাধ্যমে ফুটে উঠল জুলাইয়ের সাহস ও সংগ্রামের গল্প। বুধবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে ড্রোন শোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আয়োজনের প্রথম পর্বে ছিল শহীদ স্মরণ, গান ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচিত ড্রোন শো।
প্রথম পর্বে স্মৃতিচারণা করেন শহীদ ফয়সাল আহমেদের মা কোহিনুর আক্তার ও শহীদ ফারুকের স্ত্রী সীমা আক্তার। এরপর পরিবেশিত হয় ‘জুলাইয়ের গান’। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিয়ে প্রদর্শিত হয় একটি বিশেষ তথ্যচিত্র। এ ছাড়া প্রদর্শন করা হয় জুলাই বিষাদসিন্ধু, দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং ও জুলাই বীরগাথা চলচ্চিত্র।
গান পরিবেশন করেন শিল্পী এলিটা করিম, পারশা মাহজাবীন ও র্যাপার হান্নান। মঞ্চে ছিল ব্যান্ড চিম্বুক, বে অব বেঙ্গল ও শিরোনামহীন। পারশা পরিবেশন করেন নিজের লেখা ‘চলো ভুলে যাই’, এলিটা গেয়ে শোনান ‘আমি বাংলার গান গাই’। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে র্যাপ পরিবেশন করেন হান্নান।
ড্রোন শোতে ভেসে ওঠে ‘শাপলা ম্যাসাকার’, ‘অ্যানফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স: ইলিয়াস আলী’, ‘গণলুটতন্ত্রী আওয়ামী সরকার’, ‘আওয়াজ উঠা’সহ নানা স্লোগান।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানায়, গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নগরে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’। এর পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’। আয়োজনের অংশ হিসেবে রয়েছে প্রতীকী ম্যারাথন, বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি অঙ্কন ও ‘মাদার্স অব জুলাই’ শিরোনামে একটি সমাবেশ।
বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম।