Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশালে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর নামে মামলা, সাবেক স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে

বরিশাল জেলার মানচিত্র

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মারুফা বেগম নামের (৩০) এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে মারুফার স্বামীর প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত গৃহবধূর বাবা মো. আইউব আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন।

পুলিশ জানায়, মামলায় মিলন খানকে প্রধান আসামি করে আরও সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলন খানের প্রথম স্ত্রী ঝুমুর বেগমকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না। একই সঙ্গে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারুফার স্বামী মিলন খানকেও পুলিশি নজরদারিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিলনের ভাই সবুজ খানের দাবি, গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খানের বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢোকে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা আড়াই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে। মারুফা এতে বাধা দিতে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় মিলন তাঁর স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ডাকাত দলের হামলায় তিনি আহত হন। পরে স্বজনেরা টের পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, মারুফার লাশ মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর মিলনের মুখমণ্ডল কাপড় দিয়ে এবং হাত-পা রশি দিয়ে খাটের সঙ্গে বাঁধা ছিল।

ঘটনার আলামত দেখে শুরুতেই পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে রহস্যজনক বলে ধারণা করেছিল। পুলিশের ধারণা, শুধু ডাকাতির ঘটনা হলে ওই গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করা হতো। ওই গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে এবং তাঁর দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নিহত মারুফা বেগম মিলন খানের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায় ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মিলন খানের। এর কিছুদিন পর মারুফাকে বিয়ে করেন মিলন। মারুফার সঙ্গে মিলন খানের পারিবারিক কলহ ছিল বলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুরু থেকেই রহস্যজনক মনে হয়েছ। গতকাল রাতে নিহত মারুফার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় মারুফার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও সাতজনকে। মারুফার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল গভীর রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, আক্রোশ থেকেই এটা করা হয়েছে।