
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে আটক বহিরাগত যুবক আশরাফুল ইসলামের (যাযাবর পারভেজ) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের এক আবাসিক ছাত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিষয়টি তদন্তের জন্য নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে হল প্রশাসন।
আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযুক্ত যুবক আশরাফুলের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে হলে প্রবেশ করেন আশরাফুল। এ সময় তাঁর কপালে টিপ, পরনে পালাজ্জো ও ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। তাঁর পোশাক ও হাঁটার ধরন দেখে হলের কয়েকজন ছাত্রীর সন্দেহ হলে বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়। একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হল সুপারসহ কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে আশরাফুলকে দেখতে পান। এরপর তাঁকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর আজ বিকেলে আশুলিয়া থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, শনিবার রাতের ঘটনায় বহিরাগত যুবকের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিক বলেন, আসামি থানা হেফাজতে আছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে চালান করে দেওয়া হবে।