
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মুকুল বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুকুল বেগমের স্বামীর নাম হাবিবুর রহমান তালুকদার। তিনি চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীরতবক গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করেন। এই দম্পতির মুসা তালুকদার নামে ২০ বছর বয়সী একটি সন্তান আছে।
হাবিবুর রহমান তালুকদারের ভাষ্য, ‘আমার প্রথম স্ত্রী মারা গেছে অনেক দিন আগে। সে ছিল আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। গতকাল দুপুরেও আমারে ভাত বাইরা খাওয়াইছে। ভাত খাওয়ার পর আমি নামাজ পড়াইতে মসজিদে চইল্যা যাই। পোলাডায়ও বাড়িতে আছেলো না। এই পাশবিক ঘটনাটা কীভাবে ঘটছে, আমি কিছুই কইতে পারমু না। আমার সব শ্যাষ কইরা দেছে।’
মুকুল বেগমের দেবরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, বসতঘরটি ভেঙে তাঁর চাচা নতুন ঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ কারণে তাঁরা পাশের রান্নাঘরে থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যার পর প্রতিবেশী এক নারী গৃহস্থালির কাজের জন্য তাঁর চাচির কাছে গেলে দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে তাঁর চাচির গলাকাটা দেহ পড়ে আছে। এ ঘটনা দেখে ওই প্রতিবেশী নারী চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইলিয়াস তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনেছেন তাঁরা। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। আজ সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য তা পটুয়াখালীতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।