গাজীপুরে কয়েল কারখানায় লাগা আগুন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায়
গাজীপুরে কয়েল কারখানায় লাগা আগুন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায়

গাজীপুরে কয়েল কারখানায় আগুন, সাড়ে তিন ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে

গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় কয়েল তৈরির একটি কারখানায় লাগা আগুন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারখানা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির গুদামে থাকা রাসায়নিক থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

কারখানার শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই শিরিরচালা এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড ফিনিস অয়েল কোং (ইউনিট-২) নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা এলাকায় ফিনিস কয়েল কারখানা নামে পরিচিত।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে কারখানার রাসায়নিকের গুদাম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার অন্যান্য স্থাপনায়। সেখানে কেরোসিনসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। তবে দুপুরের খাবারের সময় আগুন লাগায় কারখানার শ্রমিকেরা বাইরে ছিলেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে জয়দেবপুর, রাজেন্দ্রপুর ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কারখানা ও আশপাশে পানিসংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটা বেগ পেয়ে হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কারখানার শ্রমিক খায়রুল ইসলাম বলেন, দুপুরের খাবারের জন্য সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা কারখানা থেকে বের হন। বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ খবর পান, কারখানায় আগুন লেগেছে। পরে খাবার না খেয়ে কারখানায় ফিরে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তা করেন।

অপর শ্রমিক নাইমুল ইসলাম বলেন, অনেকেই দুপুরে খেতে গেলেও তিনিসহ অনেক শ্রমিক কারখানাতেই অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ সাড়ে ১২টার দিকে কারখানার ফায়ার অ্যালার্ম বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সব শ্রমিক বের হয়ে যান। আগুন শুরুতে গুদামে লাগে, পরে পাশের টিনশেড ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনে মূলত দোকানপাটে বিক্রি করা পণ্যের সঙ্গে দেওয়ার জন্য রাখা উপহারসামগ্রী ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কারখানার পাশেই একটি পেট্রলপাম্প এবং চারপাশে জনবসতি থাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই তাঁদের বাড়ি থেকে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে নিরাপদে অবস্থান করেন। এ সময়ে আগুনের তাপে পাশের একটি ভবনের জানালা ও দরজার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে।