মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ করেছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার
মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ  করেছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার

মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ব্যবহৃত সাতটি খননযন্ত্র ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিকেলে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ সেখানে অভিযান চালান। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাতটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।

জব্দ করা খননযন্ত্রগুলো হলো মেসার্স আবির ট্রেডার্স, আবাবিল ড্রেজিং প্রকল্প, সাকিব সাব্বির লোড ড্রেজার, আতিবা আদিবা লোড ড্রেজার, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ড্রেজার, গাউসিয়া লোড ড্রেজার ও জোন শাহ ড্রেজার। এ ছাড়া ‘জিয়া অ্যান্ড সাব্বির এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাল্কহেডও জব্দ করা হয়। এগুলো ভৈরব নৌ থানার জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানে আশুগঞ্জ থানা ও ভৈরব নৌ থানার একটি দল অংশ নেয়।

রাফে মোহাম্মদ বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।