
কিছুক্ষণ পর শুরু হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
সকাল আটটার দিকে দেখা যায়, আবাসিক হলের কেন্দ্রগুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সোয়া আটটার দিকে ক্যাম্পাসের পেছনে গেরুয়া এলাকা সংলগ্ন ফটকে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ লেখা ব্যানার ঝোলানো হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিপিএম) আনিসুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অন্যান্য ফটকের তুলনায় গেরুয়া ফটক দিয়ে বাইরের লোকজন ঢোকার চেষ্টা করবে। এ কারণে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশি রাখা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার কিছু পরেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
সাংবাদিক ও প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ফাঁকা ব্যালট বাক্স দেখিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
আবাসিক হলের কেন্দ্রগুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রস্তুতি শেষ করেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে ১৬ মিনিট পর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের দিকে সেখানে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৪৫ মিনিট পর পৌনে ১০টা পর্যন্ত এখানে ভোট পড়েছে ১২টি।
এই হলের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এস এম হামিদ হাসান বলেন, ‘ভোট শুরুর প্রথম দিকেই এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। প্রায় ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর ভোট দিতে পেরেছি।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, এই ভোটকেন্দ্রে ১৬ মিনিট পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১২টি। তবে এখন ভোটার উপস্থিতি অনেক বেড়েছে।
ভোটার কত
মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন
ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন
ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন
২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী
কোন পদে কত প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী ৮ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে প্রার্থী ৬ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রার্থী ১০ জন
চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল:
ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল
ছাত্রশিবির–সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ–সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম
তিনটি আংশিক প্যানেল:
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন
স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ
ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুল রয়েছে। কার্যকরী সদস্য পদে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে দেওয়া নির্দেশনায় একজনের নামের পাশে টিকচিহ্ন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বলে দেওয়া হয়েছে। তারা সদস্য পদে তিনটি করেই টিক চিহ্ন দিচ্ছেন। অর্থাৎ তিনটি করে ভোট দিচ্ছেন।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে দেরিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। হলের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ৪৫ মিনিট পর ভোট শুরু হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, ২৫ মিনিট দেরিতে ভোট শুরু হয়েছে।
ফজিলতুন্নেসা হলে শুরুতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকেরা। হলের নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে খবর পাঠানো হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু সাইফ জানান, পুরুষ সাংবাদিক ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হলে প্রক্টরের অনুমতি লাগবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব একেএম রাশিদুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
পরে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিকের হলে ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা না থাকার কথা জানান।
ফজিলতুন্নেসা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু সাইফ মুঠোফোনে বলেন, ৪৫ মিনিট নয়, ভোট শুরু করতে ২৫ মিনিটের মতো দেরি হয়েছে। মূলত প্রক্রিয়াগত (প্রস্তুতিমূলক) কাজ শেষ না হওয়ায় এমনটা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারের আঙুলে মার্কার দিয়ে দাগ না দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
এই কেন্দ্রে এসে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হলে ভোট দেওয়ার সময় কোন ভোটারের আঙুলের ওপর মার্কার দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু স্বাক্ষর নিয়ে ব্যালট পেপার দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তাঁদের কারও কাছে মার্কার সরবরাহ করা হয়নি।
দেখা গেছে, ডাকসুর মতো এখানে হাতের আঙুলে দাগ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিসিটিভির মাধ্যমে ভোটের নজরদারি করা হচ্ছে।
তবে ২১ নম্বর ছাত্র হলে (সাবেক শেখ রাসেল হল) হাতে মার্কারের দাগ দিয়ে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৭৩৫ জন। বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯২টি।
এই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোসাব্বের হোসেন বলেন, কেন্দ্রে মার্কার ব্যবহারের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা নেই। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কার ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, সব হলেই ভোটারদের ভোট দেওয়া শেষে আঙুলে কালি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে অমোচনীয় কালি দেওয়ার জন্য দুটি করে কলম দেওয়া হয়েছে। সব হলেই দেওয়ার কথা। ওই হলে কেন দেওয়া হচ্ছে না তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে। ১০ নম্বর ছাত্র হলে প্রথম ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ভোট দিয়েছেন ৭ জন। এ তথ্য জানিয়ে প্রাধ্যক্ষ রেজাউল রকিব বলেন, অনেকে ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে অপেক্ষা করছে। ধীরে ধীরে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ছে।
আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২৯ জন। এ হলে মোট ভোটার ৩৩৩ জন। আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা শিবলী নোমান এ তথ্য জানান।
শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটার ২৯৯ জন। প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২০ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম এ মওদুদ আহমেদ এ তথ্য জানান।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ হলে ১২০টি ভোট পড়েছে। হলটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪৭।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ১০০ জন। হলটিতে মোট ভোটার ৫৭১ জন। হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাছরিন জলি এ তথ্য জানান।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে বৃষ্টি নেমেছে। এর কিছুক্ষণ পর আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১১টা) বিদ্যুৎ আসেনি।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ নম্বর ছাত্র হল, মওলানা ভাসানী হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, ফজিলতুন্নেছা হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, প্রীতিলতা হল, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে বিদ্যুৎ নেই।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলসহ কয়েকটি আবাসিক হলে জেনারেটর চালু করে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফজিলতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থী মারজুকা মাহী বলেন, ‘আমাদের হলে ভোট গ্রহণ হচ্ছে নিচের ফ্লোরের আন্ডারগ্রাউন্ডে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সেখানে অনেক অন্ধকার ছিল।’
১০ নম্বর ছাত্র হলের প্রাধ্যক্ষ রেজাউল রকিব বলেন, আমরা বিকল্প চার্জার লাইট দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করেছি।
শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইফতেখার হোসেন নাফিন। তাঁর বয়স ২০ বছর। ইফতেখার বললেন, এটাই তাঁর জীবনে প্রথমবার ভোট দেওয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাকসু ও হল সংসদে ভোট দিয়েছেন ইফতেখার। ইতিহাস বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ছেন তিনি।
প্রথমবার ভোট দিয়ে বেশ আনন্দিত ইফতেখার। কেমন লাগছে জানতে চাইলে বললেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে ভোট দিলাম। ভোটের মধ্য দিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরার সুযোগ হলো।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ–সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
ভোট গ্রহণ শুরুর চার ঘণ্টা পরে আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ জানান শেখ সাদী হাসান।
শেখ সাদী হাসান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়া পেয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল জাকসুতে বিজয়ের আশা করেছে। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ‘ভোট গ্রহণের আগের রাতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই যে জামায়াতে ইসলামীর কোনো এক অখ্যাত কোম্পানি থেকে যথাযথ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাচন কমিশন জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন সরবরাহ করেছে।’ নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের প্যানেলকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এমন করা হয়েছে বলে দাবি করেন শেখ সাদী হাসান।
শেখ সাদী হাসান আরও অভিযোগ করেন, ‘আমরা এ নিয়ে ভোট গণনায় কারচুপির শঙ্কা করেছি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু একই কোম্পানির সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়েই আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
ছাত্র শিবির তাদের নিজস্ব কোম্পানি থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার জন্য নীল নকশা করে রেখেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন শেখ সাদী হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে জামায়াত শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শেখ সাদী হাসান। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতংকিত বলেন তিনি।
ভোট দেওয়ার পর আঙুলে মার্কার দিয়ে দাগ না দেওয়া এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা না থাকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরা।
এই কেন্দ্রে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল ২৩ মিনিট। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সেখানে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলসহ কয়েকটি নতুন হলের শিক্ষার্থীদের পুরোনো আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন করে আইডি কার্ড বানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত সময় না থাকায় এসব শিক্ষার্থীর হল ইনডেক্স কার্ড দিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই কার্ডে চাইলে আগের ছবি তুলে আঠা দিয়ে নতুন ছবি বসানো সম্ভব। ভোটার তালিকাতেও হলের অনার্সের শিক্ষার্থীদের নাম ছিল, কিন্তু ছবি ছিল না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, বেলা ১১টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ২৩ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
আলমগীর কবির আরও বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা রাখার কোনো নির্দেশনা ছিল না। ইনডেক্স কার্ড ও লাইব্রেরি কার্ড দেখে ভোট দেওয়ার সুযোগের কথা ছিল নির্দেশনায়। তবে শিক্ষার্থীরা ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখার দাবি তোলায় তালিকার সফট কপি আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
জাকসু নির্বাচনের সেন্ট্রাল মনিটরিং দলের সদস্য সালেহ আহমদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। এরপর ছবিসহ ভোটার তালিকার সফট কপি পাঠানো হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ চলছে।
এটাকে ‘ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে সালেহ আহমদ খান বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকার সফট কপি আসার আগে ১৫৩টি ভোট পড়েছে। সেগুলো আলাদা রেখে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের ডেকে এনে যাচাই করা হবে।
এর আগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারের আঙুলে মার্কার দিয়ে দাগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব একেএম রাশিদুল আলম বলেন, সব হলেই ভোটারদের ভোট দেওয়া শেষে আঙুলে কালি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে অমোচনীয় কালি দেওয়ার জন্য দুটি করে কলম দেওয়া হয়েছে। সব হলেই দেওয়ার কথা। কেন দিচ্ছে না, সেটা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী। জন্মের পর থেকে দুই চোখে দেখতে পান না তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বন্ধুর হাত ধরে জাকসু ও হল সংসদের ভোট দিতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচের এই শিক্ষার্থী।
বেলা ১১টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল কেন্দ্রে ভোট দেন আইয়ুব। ভোট কেন্দ্রের বাইরে তিনি বললেন, ‘আজ আমি জীবনে প্রথম ভোট দিলাম। এর আগে কখনো সুযোগ পাইনি।’
কেমন লাগল—জানতে চাইলে আইয়ুব বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিল। ফ্রেন্ডকে (বন্ধু) নিয়ে এসেছিলাম শ্রুতিলেখক হিসেবে। তো, আমি বলেছি আর সে আমার... টিক দিয়েছে আরকি।’
আইয়ুব আলীর সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু আরহান রহমান বলেন, ভোট ভালোভাবেই হতে দেখা যাচ্ছে। এটা ভালো লাগছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলের ভোট কেন্দ্রে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে এমন খবরকে কেন্দ্র করে এই হট্টগোল হয়।
এতে হলটিতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রশিবির সমর্থকরা এই ছাত্রী হল কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছেন এমন গুঞ্জন শুনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও তাঁর কয়েকজন অনুসারীরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকেন।
এ সময় তাঁদের সঙ্গে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলের ফটকে দায়িত্বে থাকা দুজন কর্মচারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদলের প্রার্থীরা হলে ঢোকেন। আমরা তাদের বাধা দিলেও তারা শোনেননি।’
১৫ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা বলেন, ভোট দেওয়ার পর যে কালি দেওয়া হচ্ছিল সেটি দীর্ঘসময় স্থায়ী হচ্ছিলো না। তখন নতুন কালির জন্য কিছু সময় ভোট বন্ধ ছিল। এ সময় হট্টগোল শুরু হয়। এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি নির্বাচন মনিটরিং টিমের সদস্য। তাঁর অনুমতির প্রয়োজন নেই। জালভোট দেওয়ার খবর শুনে তিনি হলে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কোনো প্রার্থী ছিল না।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, 'অনুমতি বাদে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।'
এ বিষয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রক্টর স্যারের অনুমতি নিয়ে হলে গিয়েছিলাম। সেখানে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছিলাম। তবে কিছু শিক্ষার্থী মব তৈরি করার চেষ্টা করে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের নিচতলার করিডরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তরিকুল ইসলাম নাজিম। মুঠোফোনে অপর প্রান্তে কাউকে বলছিলেন, ‘দেখো না কেউ আছে কিনা। একটু তাড়াতাড়ি আসলে ভালো হয়।’
তরিকুল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। জাকসু ও হল সংসদে ভোট দিতে এসে বিপত্তিতে পড়েছেন তরিকুল। তাই সহায়তার জন্য বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজছেন। জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। আর এতে বিপত্তিতে পড়েন তরিকুল।
তরিকুল বললেন, গত ২৭ আগস্ট জাকসু নির্বাচন কমিশনের কাছে ডাকসুর মতো নির্বাচনে ব্রেইল পদ্ধতি রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন ক্যাম্পাসের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনারের কাছে একই দাবি আবারও জানানো হয়। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান ব্রেইল পদ্ধতি রাখতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেন।
ক্যাম্পাসে আমার মতো ৬০ থেকে ৭০ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছেন। সবাইকে ভোট দিতে অন্যের সহায়তা নিতে হবে। কিন্তু বিশ্বস্ত কাউকে পাওয়া না গেলে আমার মতো বিপত্তিতে পড়তে হবে। প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে এমনটা হয়েছে—বলেন তরিকুল।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বেলা ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি এ কথা বলেন।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘এরইমধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার জন্য কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আমরা সেসব কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দিষ্ট সময়ের পর ভোটার এলে কিছু সময়ের জন্য ভোট নিতে বলেছি।’
এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন, ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।
এই জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা গতকাল থেকে দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আরিফ উল্লাহ।
আরিফ উল্লাহ বলেন, 'সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনারের যে পরিমাণ প্রস্তুতি থাকার কথা, তার একটি প্রস্তুতিও তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি।'
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে এবং হলগুলোতে সাবেক ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন আরিফ উল্লাহ।
বিভিন্ন হলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন আরিফ উল্লাহ। ক্যাম্পাসের চারপাশে ছাত্রদলের বহিরাগতদের বেশি আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওএমআর ও ব্যালট পেপার ছাপানোর অভিযোগের বিষয়ে আরিফ উল্লাহ বলেন, এইচআরসফট বিডি নামে যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোকমুনুর জামান রনি বিএনপি সমর্থক। অথচ এ নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
জাকসু নির্বাচন বর্জন করছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অসঙ্গতিসহ নানা অভিযোগ তুলেছে তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এ সময় প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাকসু নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্র বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান সোহান। তাঁকে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এই হল থেকে গিয়েছি। এর মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রদলের একজন এই হলে অবস্থান করছেন।’
খবর পাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ওই ছাত্রদল নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানান প্রাধ্যক্ষ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ১৮ নম্বর অনুসারে ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ এবং কেবল ভোটাররাই অনুপ্রবেশ করতে পারবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলগুলোই ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর বিষয়টি আমি শুনেছি। তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনে বেশ কিছু অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছে এই প্যানেল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করেন, ভোট দেয়ার সময় ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছিল, একটা ব্যালট পেপার ফ্লোরে পাওয়া গেছে। এসব কারণে এই হলে দুই ঘণ্টা নির্বাচন বন্ধ ছিল।
একটি হলে এই প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আরও অভিযোগ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হচ্ছে। সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।
জিএস প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছে, প্রশাসন কেন শতকরা ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে। আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালটের শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী ও এজেন্টদের বাধা দিয়ে ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হচ্ছে কিনা?’
ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে এই প্যানেল।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোট শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন তিনজন শিক্ষক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা জানান তাঁরা।
এই তিন শিক্ষক হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা এবং অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান। তাঁরা বিএনপিপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর হাতে কালির দাগ না থাকা, অতিরিক্ত ব্যালট প্রিন্ট করাসহ নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তাঁরা।
আজ সকাল ৯টায় জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে পাঁচটার পরও ভোটের সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও চলছে ভোট গ্রহণ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোট দেওয়ার সারিতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল কেন্দ্রে বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটেও শিক্ষার্থীদের ভোটের সারিতে থাকতে দেখা যায়।
আজ সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টা। তবে এ সময় ভোটের সারিতে থাকা সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
জাকসু নির্বাচনে ২১টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নেওয়া হবে। সেখানে ভোটগণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি আবাসিক হলের ভোট কেন্দ্রের ব্যালট বক্সগুলো সিনেট হলে আনা হচ্ছে। সিনেট হলেই ভোট গণনা শুরু হবে এবং সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি স্থানে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হবে। এখানেই ফল ঘোষণা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে পাঁচটার পরেও ভোটের সারিতে অপেক্ষমান থাকা শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জাকসু নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা।
এই চারটি প্যানেল হলো ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের কথা জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান।
লিখিত বক্তব্যে শরণ এহসান বলেন, গতকাল রাতে ব্যালট বাক্স নিয়ে হট্টগোল থেকে শুরু করে রাত দুইটাই পোলিং এজেন্টের ঘোষণা দেওয়া, তার ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ম্যানেজ করতে না পারা, পোলিং এজেন্টদের কাজ করতে না দেওয়া, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার লিস্টে ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা ইত্যাদি অনেক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর গাফিলতির কারণে এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্ন ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দায় কেবল এবং কেবলমাত্র এই ব্যর্থ, অথর্ব এবং পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসনের।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অনিয়মের নির্বাচনকে বয়কট করেছি এবং দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় নতুন করে তফসিল ঘোষণাসহ পুননির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
জাকসু নির্বাচন বর্জনের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই মিছিল বের হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি ক্যাম্পাসের নতুন কলাভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনের সড়ক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরের দিকে যায়।
এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ‘বয়কট বয়কট, জাকসু বয়কট’, ‘প্রহসনের জাকসু, বয়কট বয়কট’ শ্লোগান দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারা মিছিলে অংশ নেন।
জাকসু নির্বাচনে অবশেষে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট হলে আজ রাত সোয়া দশটার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।
এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে তখনো ভোটের সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।
ভোটগ্রহণ শেষে ২১ টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। এরপর ভোটগণনা শুরু হয় রাত সোয়া দশটার দিকে।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ছাড়াও আরও চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনা চলছে। আজ সারা রাত ভোট গণনা করা হবে। শুক্রবার ভোটের ফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
আজ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ.কে. এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ভোট গণনা করতে আজ সারা রাত লেগে যাবে। আশা করছি কাল (শুক্রবার) দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।’ তিনি জানান, নির্বাচনে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার স্বার্থে আমরা মনে করি, খারাপ নির্বাচন হলেও জাকসু থাকা, জাকসু না থাকার চেয়ে ভালো।
আজ শুক্রবার রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ শুক্রবার সকালেও চলছে ভোট গণনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভোট গণনা চলছে। গতকাল সারা রাত ভোট গণনা চলেছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ.কে. এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে গতকাল রাতে জানিয়েছেন, আজ দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে এরপরও সারিতে থাকা ভোটাররা ভোট দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে ২১ টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। এরপর ভোটগণনা শুরু হয় রাত সোয়া দশটার দিকে।
নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল। আরও চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই চারটি প্যানেল হলো ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট আটটি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এগুলো হলো, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, মওলানা ভাসানী হল, ১০ নং ছাত্র হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, জাহানারা ইমাম হল, রোকেয়া হল ও আলবেরুনী হল।
হল সংসদের ভোট গণনা চলছে চারটি হলের। এগুলো হলো, শহীদ রফিক-জব্বার হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, ২১ নং ছাত্র হল ও ফজিলতুন্নেছা হল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা এই ফলাফল জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সংসদ নির্বাচনে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দুটি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। সেগুলো হলো, বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা এই ফলাফল জানিয়েছেন।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩১ বছর।
আজ শুক্রবার সকাল আটটার আগে এ ঘটনা ঘটে। জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতিলতা হলে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ছয়টার পরে জান্নাতুল ফেরদৌস বাসায় চলে যান। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার দিকে ভোট গণনার জন্য তিনি আবার সিনেট ভবনে আসেন। তৃতীয় তলায় ভোট গণনা কক্ষের দরজার সামনে হঠাৎ পড়ে যান।
সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শামীম রেজা রিটার্নি অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হওয়া ভোট আজ শুক্রবার সকালেও চলছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ভোট গণনা চলছে।
বেলা ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। চারটির গণনা চলছে। বাকি আছে পাঁচটির।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা সকালে জানান, হল শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে এসে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মৃত্যুর পর শোকাহত হয়ে পড়েন তাঁর সহকর্মীরা।
আজ শুক্রবার সকাল আটটার আগে এ ঘটনা ঘটে। ভোট গণনার কাজে এসে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর খবরে সকালে ভোট গণনার কক্ষে নির্বাচনে দায়িত্বরত পোলিং কর্মকর্তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নির্বাচন কমিশনার রেজওয়ানা করিম এ সময় মাইকে বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করব, ওনার (জান্নাতুল) জন্য দোয়া করবেন। এই মুহূর্তে আমরা যেহেতু একটা কাজের মধ্যে আছি, আমরা চাইলেও কাজটি অসম্পূর্ণ রাখতে পারছি না। আমাদের এই কাজটাও চালিয়ে যেতে হবে।’
জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতিলতা হলে ভোট গণনার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন। সেটির ভোট গণনার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা রেজওয়ানা করিম।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পরও গণনা চলছে। নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট পড়েছে ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। তবে এরপরও সারিতে থাকা ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম রাশিদুল আলম গতকাল রাতে জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে ভোট গণনা শেষ হতে পারে। তবে পরে আজ তিনি রাতে গণনা শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
ভোট গণনা ও ফলাফলে কেন এত দেরি জানতে চাইলে প্রথম আলোকে কয়েকটি কারণের কথা বলেন রাশিদুল আলম।
এক. ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকজন প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যানুয়ালি (হাতে ভোট গণনা) করার সিদ্ধান্ত হয়। রাশিদুল আলম বলছেন, এটা তো অবশ্যই স্বাভাবিক যে ম্যানুয়ালি হিসাব করলে একটু বেশি সময় লাগবে।
দুই. সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও দুটি হলে কিছুটা দেরি হয়েছিল। দু-একটি হলে মাঝপথে কিছুটা সময় স্থগিত ছিল। বিশেষ করে গতকাল দুটি বড় হলে, যেখানে ১ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন, সেখানে দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণ খুব কম হয়েছিল। পরে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে লাইনে অনেক ভোটার চলে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের সবাইকে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার কথা। এটি করতে গিয়ে ওই ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স আসতেই প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স না আসা পর্যন্ত ভোট গণনা শুরু হবে না। এ কারণে ভোট গণনা শুরু করতেই রাত ১০টা বেজে যায়।
তিন. যেহেতু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়ে সবার আগে থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা জানাশোনা ছিল না, তাই ভোট গণনার শুরুর দিকে অনেকটা ধীর গতিতে কাজ এগিয়েছে। পরে অবশ্য ভোট গণনার গতি বেড়েছে।
চার. সিনেট ভবনের কক্ষে শুরুতে ৫টি টেবিলে (প্রতি টেবিলে একটি হলের) ভোট গণনা শুরু হয়। এই টেবিলগুলো সিসিটিভির পর্যবেক্ষণে ছিল। পরে আজকে সকালে টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। এসব টেবিলের পাশেও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যাতে সবকিছু সবাই পর্যবেক্ষণ করতে পারে, রেকর্ড হয়।
পাঁচ. আরও এক-দুইটি কারণের কথা বলেন রাশিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে অনেক হলের পোলিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও পোলিং এজেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন। পোলিং এজেন্টদের সামনেই ব্যালট বাক্স খোলা ও সব হিসাব করা উচিত। আবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকা বাধ্যতামূলক। আমরাও সেই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এত সময় কিছু হলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় ভোট গণনায় দেরি হয়।’
প্রাথমিকভাবে যেসব কারণে ভোট গণনায় দেরি হয়েছিল, সেগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে জানান রাশিদুল।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আর তিনটি হলের ভোট গণনা বাকি রয়েছে। তিনটি হলে ভোট গণনা চলছে। বাকি ১৫টি হলের ভোট গণনা এর মধ্যে শেষ হয়েছে।
এদিকে ভোট গণনায় এক ঘন্টা বিরতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের জন্য এই বিরতি দেওয়া হয়েছে। তবে যে তিনটি হলের ভোট গণনা এখন চলছে, সেগুলো শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত গণনা চলতে থাকবে।
জাকসুর নির্বাচন কমিশনার রেজওয়ানা করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রেজওয়ানা করিম বলেন, ‘আমাদের সব কটি হল সংসদের মধ্যে কেবল তিনটি হল ছাড়া বাকি হলগুলোর গণনা শেষ হয়েছে বা চলছে।’
যে তিনটি হলে এখন গণনা চলছে, সেগুলো হলো, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, ১৩ নং ছাত্রী হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হল। আর যে তিনটি হলে গণনা শুরু বাকি সেগুলো হলো, প্রীতিলতা হল, তারামন বিবি হল ও তাজউদ্দীন হল।
চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের জানাজা আজ শুক্রবার বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে এসে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ শুক্রবার সকাল আটটার আগে এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পর শোকাহত হয়ে পড়েন তাঁর সহকর্মীরা। চারুকলা বিভাগে তাঁর মরদেহ নেওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বেলা দুইটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জানাজা শেষ হয়েছে।
জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি পাবনা শহরে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে। জান্নাতুলের সহপাঠী নজির আমিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামীর নাম সিরাজুল ইসলাম। তাঁরা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে।
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ২২ ঘণ্টা পরও চলছে গণনা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আজ শুক্রবার দুপুরের মধ্যে গণনা শেষ হবে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম রাশিদুল আলম। তবে আজ দুপুরে তিনি জানান, রাতে গণনা শেষ হতে পারে।
ভোট গণনায় এত দেরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী উম্মে হাবীবা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কখন ভোট গণনা শেষ হবে। এভাবে অপেক্ষার কারণে জাকসু নির্বাচনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে দ্রুত রেজাল্ট দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন। এখন বাকি হলগুলোর ভোট গণনা করতে প্রতিটি হলের জন্য প্রায় একঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। হল সংসদের মোট পদ ১৫টি। হল সংসদের পর জাকসুর ভোট গণনা। জাকসুতে পদ ২৫টি। সেটি গণনা করতে আরও দ্বিগুন সময় লাগবে। যে প্যানেলগুলো এখনো নির্বাচনে রয়েছে বর্জন করেনি তাঁদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা করা উচিত বলে মনে করছেন এই শিক্ষার্থী।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো চলছে। শুরুতে হল সংসদের ভোট গণনা করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত ১৯টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এখন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল সংসদের ভোট গণনা চলছে। অবশিষ্ট রয়েছে প্রীতিলতা হল সংসদের ভোট গণনা।
জাকসু নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছে, হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি আবাসিক হলে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজ সকালে জানিয়েছিলেন, আজ শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল এ অভিযোগ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ওই প্যানেলের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
মাজহারুল বলেন, ‘...সুস্পষ্টভাবে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা ভোটের আগেরদিন থেকে প্রশাসনে বিভিন্নভাবে বলে আসছিলাম যে কোন জায়গাগুলোতে ... ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলোর স্বচ্ছতা আপনারা নিশ্চিত করেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার নির্বাচন চাই, শিক্ষার্থীরা যাকে ইচ্ছা তাঁকে ভোট দেবেন কিন্তু আপনারা ফেয়ার নির্বাচন করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল নির্বাচনে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরেন।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার জন্য শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন অধ্যাপক সুলতানা আক্তার। তিনি জাকসু নির্বাচনে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সুলতানা আক্তার।
সুলতানা আক্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই অব্যবস্থাপনার জন্য দায় নিতে হবে। একইসাথে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এই অধ্যাপক বলেন, ‘হল সংসদে একটিমাত্র ব্যলট পেপারের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে, কিন্তু জাকসুতে ৩টা করে, অর্থাৎ যদি ৮ হাজার ভোট কাস্ট (প্রদত্ত ভোট) হয়ে থাকে, তবে ২৪ হাজার কাউন্ট (গণনা) করতে হবে ম্যানুয়াল (হাতে গোণা) পদ্ধতিতে। তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব, তিন দিনেও তো এটা সম্ভব হবে না। এই পদ্ধতির আমরা পরিবর্তন চাই।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই গণনা শুরু হয়। প্রথম ধাপে নয়টি হলের ভোট গণনা হচ্ছে। হলগুলো হচ্ছে: বেগম সুফিয়া কামাল হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, তারামন বিবি হল ও জাহানারা ইমাম হল।
জাকসু নির্বাচন কমিশনার রেজোয়ানা করিম স্নিগ্ধা এ তথ্য জানান।
আজ রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাতের মধ্যেই ভোট গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে সেটার নির্দিষ্ট সময় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রাতের শেষভাগেও (ফল ঘোষণা) করা হতে পারে।
মনিরুজ্জামান বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত নয়টা থেকেই ভোট গণনা শুরু করা হয়েছে। ২১ টি হলের মধ্যে ১৯ টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। আমরা দ্রুত ভোট গণনার জন্য জনবল বৃদ্ধি করেছি। প্রার্থীদের এজেন্টের সামনে স্বচ্ছতা বজায় রেখে ভোট গণনা করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেই এমন কাউকে ভোট গণনায় রাখা হয়নি।
জাকসু নির্বাচনের ফল স্থগিত করা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি একটি স্বার্থান্বেষী মহল নির্বাচনের ফল স্থগিতের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন কোনো কিছু করার চেষ্টা করা হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে প্রতিহত করব।’
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দাবি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ভোট গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে আমরা সেটা মেনে নেব না। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সূচি পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। আর ফলাফলে যে রায় আসবে তা আমরা মেনে নেব।’
জাকসু নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।
আজ শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে মাফরুহী সাত্তার এ ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাতের মধ্যেই ভোট গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে সেটার নির্দিষ্ট সময় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রাতের শেষভাগেও (ফল ঘোষণা) করা হতে পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা চলছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই গণনা শুরু হয়।
এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা করা হয়।
জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনার প্রথম ধাপে নয়টি হলের ভোট গণনা চলছে। হলগুলো হচ্ছে: বেগম সুফিয়া কামাল হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, তারামন বিবি হল ও জাহানারা ইমাম হল।
গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ করা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা চলছে। এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা হয়েছে। আজ শনিবার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো গণনা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই ভোট গণনা চলছে। গণনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। নির্বাচন কমিশন একেকবার একেক সময়সীমার কথা জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা। তার আগে তিনি গতকাল দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। সেই গণনা এখনো চলছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ১৫টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মোট ১৫টি হলের ভোট গণনা শেষ। আশা করছি বাকি হলগুলোর ভোট গণনা বেলা ১টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা হয়েছে। আজ শনিবার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো গণনা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই ভোট গণনা চলছে। গণনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। নির্বাচন কমিশন একেকবার একেক সময়সীমার কথা জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা। তার আগে তিনি গতকাল দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে ছয় হলে ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে দুই হলের গণনা শেষের দিকে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার কিছু আগে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী এ কথা জানান।
লুৎফুল এলাহী বলেন, ১৫টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম কামাল উদ্দিন, ২১ নং ছাত্র হল , জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মওলানা ভাসানী হলের ভোট গণনা চলছে। এরমধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোট গণনা প্রায় শেষের দিকে।
এর মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোট গণনা দ্রুতই শেষ হবে বলে জানান তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ১৭ হলে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি আর চারটির। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ভোট গণনা চলছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার কিছু আগে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী এ কথা জানান।
মওলানা ভাসানী হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোট গণনা বাকি রয়েছে।
এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা হয়েছে। আজ নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো গণনা চলছে।
লুৎফুল এলাহী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আশা করছি বাকি হলগুলোর ভোট গণনা বেলা ১টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে, ফল প্রস্তুত করে ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের ফলাফল কখন হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুজ্জামান বলেন, গণনার কাজের পরে ফলাফল ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি আছে। সেখানে সময় লাগবে। আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ফল ঘোষণা করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
ভোট গণনার কাজ পালা করে চলছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সেটা করার কোনো সুযোগ নাই।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি এ কথা জানান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ১৯টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন গণনা চলছে বাকি দুটি হলের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই ভোট গণনা চলছে।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী এ কথা জানান।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সদস্য বলেন, এখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ভোট গণনা চলছে।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের সামনে বলেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে, ফল প্রস্তুত করে ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আগামীকাল রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস ও ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
পরশু সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্লাস ও অফিস যথারীতি খোলা থাকবে। তবে পূর্বনির্ধারিত সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনকেন্দ্রিক টানা চার দিন কার্যক্রম চলার কারণে আগামীকাল বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আজ শনিবার নিয়ে তিন দিন ধরে চলছে ভোট গণনা।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, সন্ধ্যার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে পারবে।
তবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম কাল চলবে। সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলো খোলা থাকবে এবং ভর্তির কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীরা অফিসে থাকবেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা অবশেষে শেষ হলো। ভোট গুনতে লাগল ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময়।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে বলেন, ‘সব হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। সর্বশেষ আমার হলের ভোট গণনা বাকি ছিল সেটাও শেষ হয়েছে।'
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আলাদাভাবে সব হলের ভোট গণনা শেষ হওয়ায় এখন সবগুলো ভোট যোগ করে তা আবার যাচাই করে ফলপ্রকাশ হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন রাত সোয়া ১০টায় শুরু হয় গণনা। আর আজ বেলা আড়াইটার পরে শেষ হলো ভোট গণনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হয়।
ভোট গণনা শেষ হওয়ার সময়সীমা ও নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ নিয়ে একেকবার একেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন তাঁরা। তার আগে তিনি গতকাল দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান।
সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী জানান, বেলা একটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে।
সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে, ফল প্রস্তুত করে ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এবার ফলের জন্য অপেক্ষা করছেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার জাকসুর ভোটগ্রহণ করা হয়। ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স নেওয়া হয় সিনেট হলে। সেখানে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ভোট গণনা চলে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।
কোন পদে কত প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী ৮ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে প্রার্থী ৬ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রার্থী ১০ জন
শুরুতে হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে। একে একে ২১টি হল সংসদের ফল ঘোষণা করছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
১৩ নং (ছাত্রী) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন নাহাদাতুন হাসানা।
জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মোহসিনা তুবা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া মেহজাবিন।
বেগম খালেদা জিয়া হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ফারহানা রহমান, জিএস হয়েছেন ফাতেমা তুজ–জোহরা। এজিএস রায়হানা সরকার।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন অমিত কুমার বণিক। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা আদনান ইসলাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন সিফাত উল্লাহ।জিএস হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন তারিক আহমেদ।
ফজিলতুন্নেসা হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ঐশী সরকার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা তাবাসসুম। এজিএস প্রমা রাহা।
শহীদ রফিক-জব্বার হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান। জিএস হয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
২১ নং (ছাত্র) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ইবনে শিহাব। জিএস হয়েছেন ওলিউল্লাহ মাহাদী। এজিএস হয়েছেন তুষার আহমেদ।
কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমেদ। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন জিএমএম রায়হান কবীর। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আবরার শাহরিয়ার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রিপন মন্ডল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
মীর মশাররফ হোসেন হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জুবায়ের। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত হোসেন।
মওলানা ভাসানী হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল হাই স্বপন। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয় পোদ্দার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রাকিব হাসান।
শহীদ সালাম–বরকত সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হোসেন। জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা, এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া।
আলবেরুনী হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত আহমেদ শাকিল। জিএস হয়েছেন মুনতাসির বিল্লাহ খান। এজিএস সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বুবলী আহমেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস হয়েছে সুমাইয়া খানম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), এজিএস প্রার্থী নেই।
১০ নং (ছাত্র) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৫ নং (ছাত্রী) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন খাতুন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস মেহনাজ মোহনা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল সংসদের ফল ঘোষণা শেষ হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে।
কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন: মোহাম্মদ আলী চিশতী, আবু তালহা, তরিকুল ইসলাম।
কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে বিজয়ী নুসরাত জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন ও ফাবলিহা জাহান।
ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু উবায়দা।
পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাফায়েত মীর।
নাট্য সম্পাদক রহুল ইসলাম।
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ।
সহ–সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ রায়হান উদ্দীন।
পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তানভীর রহমান।
স্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা সম্পাদক হুসনী মোবারক।
সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক আহসান লাবিব।
তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।
সহ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা।
সহ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (পুরুষ) তৌহিদ হাসান।
সহ ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মাহাদী হাসান।
সহ ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার।
এজিএস (পুরুষ) ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা।
জাকসুর ভিপি পদে জয় পেয়েছেন আবদুর রশীদ জিতু। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন তিনি।
আবদুর রশীদ জিতু ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ ভোট। আরিফ শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জিএস পদে জয় পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক। মাজহারুল ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মাজহারুল ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৮ ভোট। সিয়াম গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।