ফরিদপুরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় হামিরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
ফরিদপুরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় হামিরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ

ফরিদপুরে আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

ফরিদপুরে ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আবারও দুই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সোয়াদী ও মনসুরাবাদ এবং ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী, নওপাড়া ও পুখুরিয়া এলাকায় স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে ও বাঁশ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

ফরিদপুর-৪ আসন এত দিন ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর ফরিদপুর-২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

অবরোধ চলাকালে এলাকাবাসী স্লোগান দিয়ে সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ জানান। তাঁরা ‘আমরা ভাঙ্গার মানুষ, ভাঙ্গাতেই থাকতে চাই’, ‘ভাঙ্গা আমার মা, আমার মায়ের বিভাজন হতে দেব না’, ‘নগরকান্দার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেব না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়

অবরোধের পর ভাঙ্গা থানার পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে বিপুলসংখ্যক অবরোধকারীর কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মহাসড়ক ক্লিয়ার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু অবরোধকারীদের বুঝিয়েও কাজ হচ্ছে না। তবে জরুরি যানবাহনগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।’

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে মহাসড়কের সাতটি স্থান অবরোধ করেন এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে সেদিন অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও এর মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

বিএনপির নেতা শহিদুল ইসলামসহ সাতজনের পক্ষ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বাতিল না করা হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে। তবে ওই দিন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।