Thank you for trying Sticky AMP!!

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলের ‘কারখানায়’ বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ

গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলের কারখানাটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। আজ শনিবার সকালে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া তেঁতুলতলা এলাকায়

ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত ও রিফিলের একটি ‘কারখানায়’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে বেলাল এন্টারপ্রাইজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক, এক শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে চলছিল।

বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. বেলাল হোসেন (৩০), কর্মচারী শরিফুল ইসলাম (২৫), নুরনবী (২৮), সোহাগ (৯) ও মাহা আলম (২৬)। তাঁদের আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, নুরনবী ও মাহা আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, আজ সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সেখানে এসে দেখেন পুরো কারখানায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একটু পর দুটি ছেলেকে আগুন গায়ে নিয়ে বের হয়ে আসতে দেখেন। তাঁদের তিনি মাটিতে শুয়ে পরতে বলেন। পরে আরেকটি শিশু ছেলে বের হয়। তিনজনের শরীর অনেক অংশ পুড়ে গেছে। আরও দুজন দগ্ধ হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া তেঁতুলতলা এলাকার ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তাঁরা। পরে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। টিনশেডের ওই প্রতিষ্ঠানের ছয়টি কক্ষের মধ্যে তিনটি পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৪-এর উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ। প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। সেখানে বড় বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করা হতো। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের সনদও নেই। ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ পাঁচ কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন।

আশুলিয়া নারী ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে এক শিশুসহ পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, নুরনবী ও মাহা আলমের অবস্থা ভালো নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।