Thank you for trying Sticky AMP!!

‘এই ঠান্ডাত কম্বল গায়োত জড়ায়ে উসুম পামো’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও রংপুর বন্ধুসভার সহযোগিতায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আরাজি নিয়ামত-নবনিদাস এলাকায়

বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চিনু বালা। তাঁর তিন ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র মেয়ে তাঁকে দেখাশোনা করেন। বাঁশের বেড়া ও টিনের চালার ঘরে অনেক বছর ধরে কষ্টে বসবাস করে আসছেন তিনি। শীতের মধ্যে সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

শীতের কষ্ট লাঘবে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও বন্ধুসভার সহযোগিতায় আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে চিনু বালার মতো শীতার্ত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে ২২০টি কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আরাজি নিয়ামত-নবনিদাস এলাকায় এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

এর আগে কখনো চিনু বালা শীতবস্ত্র পাননি। এবারই প্রথম কম্বল পেয়ে সত্তরোর্ধ্ব চিনু বালা বলেন, ‘ছাওয়া কায়ো মোর সাথে থাকে না। এই ঠান্ডাত মরি যাওয়ার মতো হইছে। আইজ তোমারগুলার দেওয়া একখান কম্বল পানু। তোমরায় গরিবের বন্ধু। এই ঠান্ডাত গায়োত জড়ায়ে উসুম পামো।’

কম্বল পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ৭২ বছরের বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী বলেন, ‘হামার ঘরোত বাঁশের বেড়া ফুটা দিয়ে বাতাস ঢোকে। বিছানাত শুতি (শুয়ে) থাকিয়াও শান্তি নাই। এবারের শীত খুব পড়ছে। তিস্তা নদীর ঠান্ডা বাতাসোত হামরা কাহিল হয়া পড়ছি।’

শীতবস্ত্র বিতরণে সহযোগিতা করেছে রংপুর বন্ধুসভা। কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বন্ধুসভার সভাপতি রওনক জাহান খুশি, সাধারণ সম্পাদক সাউদুর জামান, সহসভাপতি বৃষ্টি প্রামাণিক, আরিফ হোসেনসহ বন্ধুসভার ১৫ জন সদস্য।

শীতবস্ত্র বিতরণে সহযোগিতা করেছেন রংপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা

৭৫ বছর বয়সী খবির মিয়া বলেন, ‘এই শীতোত কম্বলটা কত যে উপকার হইল, এ জন্য আল্লাহ তোমারগুলার ভালো করবে।’ নবনিদাস এলাকার বাসিন্দা সখিনা বেগম বলেন, ‘এই এলাকাত আগোত কায়ো কম্বল দেয় নাই। এইবারে প্রথম পাইনো কম্বল।’

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।

Also Read: ‘কম্বল পাওনে এহন ঠান্ডায় গোনে আছান অইবে’

Also Read: ‘আজকা রাতত থ্যাকে কম্বল গাওত দিয়ে আরামে ঘুমাবার পারমু’