Thank you for trying Sticky AMP!!

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া তরুণীকে মারধর, পরে বিষপান

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন এক তরুণী। পরে তাঁকে ওই বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য গালিগালাজ, মারধর ও অপমান করা হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই তরুণী বিষপান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শেরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের অন্য সদস্য ও প্রতিবেশিরা জানান, মা-বাবা অসুস্থ তরুণীর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন।

তরুণীর বড় বোন বলেন, এক তরুণের সঙ্গে তাঁর ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণের কাছ থেকে বিয়ের আশ্বাস পেয়ে তাঁর ছোট বোন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। গতকাল সোমবার তাঁর বোন জানতে পারেন, তাঁর প্রেমিক (তরুণ) অন্যত্র বিয়ে করছে। এটি জানতে পেরে তাঁর বোন সোমবার বিকেলে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর তরুণের পরিবারের লোকজন তাঁর বোনকে মারধর ও খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করে। পরে ওই তরুণের বাড়ির কাছে অবস্থিত এক বাজারে এ ঘটনা নিয়ে একটি সালিস বৈঠক হয়।

সালিসে উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া। সালিসে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, সালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তরুণীর পরিবারকে ক্ষতিপুরণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সোমবার রাতে নান্দাইল দেওয়ানগঞ্জ সড়ক দিয়ে নান্দাইল পৌরশহরের বাসায় ফিরছিলেন। তখন লোকজন তাঁকে থামিয়ে এ ঘটনাটি মীমাংসা করে দিতে বলেন। তাই তিনি সালিস আয়োজন করেছিলেন। তরুণীর বিষপান প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এটি ঘটেছে সালিস শেষ হওয়ার অনেক সময় পরে।
গ্রামের একটি সূত্র জানায়, পুরো সালিসটি ছিল তরুণীর জন্য অপমানজনক। সালিসের একতরফা সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ওই তরুণী বিষপান করেছেন।

ওই তরুণীকে মারধর ও অপমান করার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই তরুণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে তাঁর মা দাবি করেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। যদি থাকত, তাহলে তাঁর ছেলে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য রাজি হতো না। আগামী শুক্রবার তাঁর ছেলের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রামে দাওয়াত কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এখন গ্রামের কিছু দুষ্ট লোকের প্ররোচনায় ওই তরুণী একটি নাটক সাজানোর জন্য তাঁদের বাড়িতে ঢুকেছিলেন।