ঘোড়াঘাটে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ঘোড়াঘাটে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার আজাহার আলী
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি আজাহার আলীকে (৬৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার আসামি গ্রেপ্তার হলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় দিনাজপুর র‌্যাব-১৩-এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাতেই আসামি আজাহার আলীকে ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রংপুরের ধাপমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করেন র‌্যাবের সদস্যরা।

গত বুধবার সকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত মনোয়ার হোসেনের বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ওই দিন মামলার আসামি উমর আলী, স্ত্রী মোমেতা বেগম এবং ছেলে সামিরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অপর আসামি উমর আলীর বড় ছেলে মনিরুল ইসলাম পলাতক।

জোড়া খুনের জেরে গতকাল দুপুর দুইটার দিকে নিহত দুজনের জানাজা শেষে খোদাদাতপুর গ্রামের কয়েক শ উত্তেজিত মানুষ ওই গ্রামের চুনিয়াপাড়ার ২৮টি বাড়ি ও বাড়ির সামনে ২৫টি খড়ের গাদায় আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ওই সব বাড়ি থেকে গরু-ছাগল, আসবাব, টাকাপয়সা ও গয়না লুট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খোদাদাতপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে জোড়া খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি রংপুর সদর থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে, এমন তথ্য পায় র‌্যাব। পরে গতকাল রাত সোয়া ৩টার দিকে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল রংপুর শহরের ধাপমোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আজাহার আলীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আজাহার আলী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

র‌্যাব বলছে, জোড়া খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।