কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ। আজ বেলা ১১টার দিকে নগরের সিইপিজেড এলাকায়
কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ। আজ বেলা ১১টার দিকে নগরের সিইপিজেড এলাকায়

সিইপিজেডে তৃতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ‘এক্সেল শিওর সুজ’ নামের একটি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে সিইপিজেডের প্রবেশফটক এলাকায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে সড়ক থেকে তুলে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়ক অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।

শ্রমিকেরা জানান, কারখানাটির ৪০ শ্রমিককে স্থায়ীভাবে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ মার্চ তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। গত শনিবার থেকে শ্রমিকেরা এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ছাঁটাই করা কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা।

কর্মসূচির মধ্যেই গতকাল রোববার সকালে কারখানার ফটক বন্ধ দেখতে পান শ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ফটক ভেঙে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এতে কয়েকজন আহতও হন।

পুলিশ বলছে, প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি না মানায় কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের চার মাসের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে। ওই শ্রমিকেরা বিভিন্ন সময়ে কারখানায় কর্মরত অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তাই মালিকপক্ষ তাঁদের রাখতে রাজি না।

অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় সড়কে

তবে সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে থাকা মোহাম্মদ শাহিন নামের এক শ্রমিক বলেন, ছাঁটাই হওয়া ব্যক্তিরা শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলতেন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া তুলে ধরায় মালিকপক্ষ তাঁদের ছাঁটাই করেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলায়মান দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে নিয়মকানুন না মানায় মালিকপক্ষ কিছু শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে। তাঁদের বেতনও পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও তাঁরা বিশৃঙ্খলা করছেন। বর্তমানে সড়ক সচল আছে। শ্রমিকেরা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছেন।’