Thank you for trying Sticky AMP!!

হঠাৎ খসে পড়ল হাসপাতালের ছাদের পলেস্তারা

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পাশে স্টাফকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ভেতরে স্টাফ কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের ভেতরে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশ্রাম কক্ষজুড়ে বালু, খোয়া, সিমেন্টের টুকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ওপরে তাকাতেই দেখা যায়, ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। রডে মরিচা পড়ায় পাশের অংশে ফাটল দেখা যায়।

পলেস্তারা খসে পড়ার সময় ওই কক্ষে ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার ডিউটি না থাকায় রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এ সময় ওপর থেকে আমার গায়ে বালু পড়ায় তাড়াতাড়ি জরুরি বিভাগের কক্ষে চলে আসি এবং সঙ্গে সঙ্গে ছাদের পলেস্তারা খসে বিছানার ওপর পড়ে। বছরখানেক আগেও হাসপাতালে সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এরপরও এই অবস্থা। আজ অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। তবে ভয়ে আছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী রিফাত হাসান বলেন, যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা চিকিৎসা নিতে এসেছেন। ছাদ ভেঙে পড়ার খবর শোনার পর থেকে খুব ভয়ে আছেন।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আমিনা নুসরাত জাহান বলেন, অলৌকিকভাবে তাঁদের কর্মী সাইদুর বেঁচে গেছেন। তাঁরা রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ভিডিও এবং চিঠি পাঠিয়ে সংস্কারের কথা বলেছেন। দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আগের সংস্কারের কাজে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘গাফিলতি না, তবে সেই সময় রোগীর প্রচুর চাপ থাকায় ওই অংশে ভালোভাবে কাজ করানো সম্ভব হয়নি। আসলে ভবনের টেম্পার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন ভবন চাচ্ছি।’

মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় হয়তো ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বিষয়টি তাঁরা দেখছেন। আতঙ্কের কিছু নেই। দু-এক দিনের মধ্যে প্রকৌশলী পাঠিয়ে সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।