মো. নুরুল ইসলাম
মো. নুরুল ইসলাম

‘ধাওয়া খেয়ে’ নদে ঝাঁপ, এক দিন পর ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের এক দিন পর মো. নুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার তেগাছিয়া বাজারসংলগ্ন সোনাতলা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নুরুল ইসলাম পৌর শহরের বাদুরতলী এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তিনি আন্ধারমানিক নদে ঝাঁপ দেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নুরুল ইসলামের মেয়ে রুপা বলেন, তাঁর বাবা বাদুরতলী এলাকায় ইজিবাইকে বসে ছিলেন। ওই সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁর শরীর তল্লাশি করেন। কিছু না পেয়ে একটু দূরে গিয়ে আবার তাঁকে আটকের জন্য ধাওয়া দেন। নিজেকে বাঁচাতে তিনি নদে ঝাঁপ দেন। এ সময় ইজিবাইক থেকে আরেকজনকে আটক করা হয় বলে তিনি জানতে পারেন।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে একজন গতকাল বিকেলে থানায় এসে নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর আমাদের পুলিশ সদস্যসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করার জন্য আন্ধারমানিক নদের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজাখুঁজি করেছেন।’

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আবুল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁরা বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ চালান। আজ বেলা তিনটার দিকে সোনাতলা নদীর তেগাছিয়া পয়েন্ট থেকে নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘গতকাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন রাহাত হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। মাদক সেবনের দায়ে ওই ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো কিছু আমার জানা নেই।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. হামিমুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল বেলা আড়াইটায় বাদুরতলী এলাকা থেকে আমরা শুধু রাহাত হাওলাদার (২২) নামের একজনকে আটক করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে মাদক সেবনের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নুরুল ইসলাম কেন বা কীভাবে নিখোঁজ হলেন, তা আমরা জানি না। তবে আমাদের লোকের ধাওয়া খেয়ে যদি তিনি নদে ঝাঁপ দিয়ে থাকেন অথবা কেউ জড়িত থাকেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’