
শেরপুরে একটি হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে আট ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়ার একটি বাড়ি থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চাঁদনী বেগম নামে (২২) এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
আটক চাঁদনী বেগম শ্রীবরদীর কুরুয়া কাজীপাড়ার বাসিন্দা চান মিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শেরপুর পৌর শহরের চাপাতলী মহল্লার বাসিন্দা ও মাংস ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়া তাঁর স্ত্রী আবেদা বেগমকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই রাতেই আবেদা একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন।
শিশুটির জন্মের পর ফিরোজ মিয়ার মা ও কয়েকজন নারী আত্মীয় সার্বক্ষণিক নবজাতকের পাশে ছিলেন। এ সময় চাঁদনী বেগম নিজেকে অন্য রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং কয়েক দিন ধরে নানা অজুহাতে ওই কক্ষে যাতায়াত করতেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবজাতকের মা বাথরুমে যান এবং অন্য স্বজনেরা কক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন। এই সুযোগে চাঁদনী বেগম নবজাতককে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে তিনি নবজাতকটিকে শ্রীবরদীর কুরুয়া কাজীপাড়ায় তাঁর বাবার বাড়িতে নিয়ে যান।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে এবং চাঁদনী বেগমকে আটক করে। প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চার মাস আগে চাঁদনী বেগমের একটি সন্তান মারা যায়। এর পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সম্ভবত সন্তান হারানোর শোক থেকেই তিনি এ কাজ করেছেন।
চাঁদনীর প্রতিবেশী ও কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, চাঁদনীর নিজের শিশুসন্তান মারা যাওয়ার কারণেই হয়তো তিনি নবজাতকটিকে চুরি করেছেন।
শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবজাতকটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িত নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।