পঞ্চগড়ে সকালের ঝলমলে রোদে কৃষকদের কেউ জমি চাষ করছেন, আবার কেউ জৈব সার ছিটাতে মাথায় করে জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডুডুমারী এলাকায়
পঞ্চগড়ে সকালের ঝলমলে রোদে কৃষকদের কেউ জমি চাষ করছেন, আবার কেউ জৈব সার ছিটাতে মাথায় করে জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডুডুমারী এলাকায়

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন পর সূর্যের দেখা, ঝলমলে রোদে জনজীবনে স্বস্তি

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন পর দেখা মিলেছে সূর্যের। সকাল সকাল ঝলমলে মিষ্টি রোদে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তবে উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস থাকায় দিনের বেলাতেও অনুভূত হচ্ছে শীত।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। কুয়াশা না থাকায় সকাল সাড়ে সাতটার দিকেই উঁকি দিয়েছে সূর্য। ধীরে ধীরে উঠেছে ঝলমলে রোদ।

এর আগে রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন উত্তরের এই জনপদে দেখা মেলেনি সূর্যের। মেঘলা আকাশ, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে অনুভূত হচ্ছিল হাড়কাঁপানো শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। এতে ভিজে গেছে পিচঢালা পথ। এদিন শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দিনভর রোদ না ওঠায় কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। এদিন বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান নেমে আসে মাত্র ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আজ সকালে ঝলমলে রোদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা ডুডুমারী এলাকায় চাষ করা জমিতে জৈব সার ছিটাচ্ছিলেন কৃষক বাচ্চা মিয়া (৫৫)। তিনি বলেন, ‘আজি সকাল সকাল বেলা (সূর্য) উঠিছে, কাজ করিতে আরাম পাছি। তিন দিন তকা রোদ নাই, খুপে কষ্ট গেল হামার।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কুয়াশা আর মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বুধবার সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে। এতে টানা তিন দিনের হাড়কাঁপানো শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও কমেছে। জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই এলাকার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।