
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কথিত সাধক মনির শাহ ওরফে জয়গুরু মনির শাহকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন একদল উত্তেজিত লোক। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
মনির শাহ সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের বারতোপা গ্রামে ফুলানিরসিট এলাকায় বনের জায়গায় হেরা বন পাক দরবার শরিফ নামে আস্তানা গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি কয়েক দফা ‘বিশ্ব মানব ধর্ম মেলা’ নামে কিছু ভক্ত নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। তাঁর দরবার শরিফে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বন বিভাগের করা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাঁর আস্তানা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য মনির শাহ ও তাঁর আস্তানার বিষয়টি এলাকায় সমালোচিত হচ্ছিল। বনের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা আস্তানাটি বন বিভাগ ভেঙে দেওয়ার পর আবারও সেখানে আস্তানা প্রতিষ্ঠা করেন মনির শাহ। এর প্রতিবাদে আজ শ্রীপুরে ‘ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা’র উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা করার কথা ছিল। সভা শুরুর আগে আজ সকালে মনির শাহ শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসায় যান সমঝোতা করার জন্য। এ সময় তাঁকে দেখে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কিছু লোক উত্তেজিত হন। তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সেখানে আসেন স্থানীয় আলেম-ওলামারা। তাঁরা মারধরের হাত থেকে মনির শাহকে রক্ষা করে পুলিশে খবর দেন। পরে শ্রীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মনির শাহকে তাঁদের হাতে তুলে দেন।
মাওনা চৌরাস্তার জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম জামাল উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেখানে উত্তেজিত জনতা ও তৌহিদি জনতা মনির শাহকে মারধর করার চেষ্টা করেন। আমরা তাঁকে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে হেফাজত করি। পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, মনির শাহকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।