ঐতিহ্য ও গৌরবের ১৮৫ বছর পুনর্মিলনী উপলক্ষে ফরিদপুর জিলা স্কুলে চলছে প্রস্তুতি
ঐতিহ্য ও গৌরবের ১৮৫ বছর পুনর্মিলনী উপলক্ষে ফরিদপুর জিলা স্কুলে চলছে প্রস্তুতি

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষ উদ্‌যাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষ উদ্‌যাপন ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে দুদিনের উৎসব শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার প্রাক্‌–প্রস্তুতি অনুষ্ঠান হয়েছে। এ আয়োজনে ছিল হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।

ফরিদপুর জিলা স্কুলের সামনে মাঠে এ আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশাল আকারের মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। দুদিনের উৎসব উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণ এবং সামনের সড়কের দুই পাশে ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের বিশাল অংশজুড়ে আঁকা হয়েছে সুদৃশ্য আলপনা।

স্কুলের ঘণ্টা বাজিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ১৮৫ বর্ষ উদ্‌যাপন ও পুনর্মিলনী পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সকাল ১০টার দিকে শহরে বের করা হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ব্যানার, ফেস্টুন, ঘোড়ার গাড়িসহ সুসজ্জিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি স্কুল ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করবে।

এ অনুষ্ঠানকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদ্‌যাপন ও পুনর্মিলনী উদ্‌যাপন কমিটি। ২১ সদস্যের এ উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান ও সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া। এর পাশাপাশি কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে ১৮টি উপকমিটি।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্কুল ক্যাম্পাসে প্রাক প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা রং খেলায় মেতে ওঠে। একে অপরকে রং মাখিয়ে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির রঙিন আবহ সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় কাওয়ালি গানের। সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এ গানের আসর চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া বলেন, ‘ফরিদপুর জিলা স্কুল এ অঞ্চলের একটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি আন্দোলন–সংগ্রামে এ স্কুলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবগাথা তুলে ধরার পাশাপাশি আনন্দ ও বিনোদনের মাধ্যমে দুটি দিন স্মরণীয় করে রাখার জন্য সব প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’