Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাবির হল থেকে পড়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন গোপালগঞ্জের বাড়িতে

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে ঢাবি শিক্ষার্থী ফিরোজ কাজীকে দাফন করা হয়।বৃহস্পতিবার বিকেলে মোল্লাপাড়া ঈদগাহ কবরস্থানে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হল থেকে পড়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ কাজীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া ঈদগাহ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নিহত ফিরোজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকতেন। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে দাফনের সময় স্বজন, এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Also Read: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে একটি লাশবাহী গাড়িতে ফিরোজের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এ সময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসেন। ছেলের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরোজের মা-বাবা ও স্বজনেরা। এ সময় শেষবারের মতো ফিরোজকে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন এলাকাবাসী। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও সহপাঠীরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন।

ফিরোজের মা আন্না বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর স্বপ্ন দেখতাম, আমার ছেলে অফিসার হবে। সেই ছেলে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল।’

মো. ফিরোজ কাজী

ফিরোজের বাবা চুন্নু কাজী বলেন, ‘ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। প্রায়ই বাড়িতে কথা বলত। আমাদের খোঁজখবর নিত। আমার বুকের ধন এভাবে চলে গেল। আর কারও সন্তানের যেন এমন মৃত্যু না হয়।’

প্রতিবেশী সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুন্নু কাজী এলাকায় কৃষিকাজ করেন। অনেক কষ্ট করে ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ জোগান। তিন ছেলের মধ্যে ফিরোজ ছিলেন দ্বিতীয়। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল, ছেলে লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরি করবেন। এতে তাঁদের দুঃখ ঘুচবে। লেখাপড়া শেষ করার আগেই ছেলেটা লাশ হয়ে ফিরল।’

Also Read: হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত শিক্ষার্থী ফিরোজের টেবিলে ছিল একটি চিঠি