আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীপুরের বৃন্দাবন এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীপুরের বৃন্দাবন এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ

গাজীপুরে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাকে ধরে পুলিশে দিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের বহিষ্কৃত এক নেতাকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীপুরের বৃন্দাবন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

ওই ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তিনি শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয় ও বিএনপির দলীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি নিজের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক লাগোয়া এমসি বাজার দখলের চেষ্টা করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তিনিসহ তাঁর পক্ষের সবাই গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন এবং প্রত্যেকের হাতেই ছিল দেশি অস্ত্র। তাঁরা এমসি বাজার ও আশপাশের এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া করে ব্যবসায়ীদের চাঁদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা করা হয়। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ‘জাহাঙ্গীর ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা দুটি মামলার আসামি। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন। অপর মামলার পলাতক আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তিনি মোট সাতটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে জাহাঙ্গীর আলমকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আবার এলাকায় ফিরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছিলেন। আমরা খবর পেয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।’