Thank you for trying Sticky AMP!!

জয়ের পর স্ত্রী–ছেলেকে নিয়ে আমির হোসেন আমুর বাড়িতে খায়ের আবদুল্লাহ

জয়ের পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। সোমবার রাতে বরিশাল নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কে

বরিশাল সিটি নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র পদে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কে (বগুড়া রোড) আমির হোসেনের বাড়িতে যান তিনি। এ সময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আমির হোসেন। খায়ের আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ ও একমাত্র ছেলে আবিদ আবদুল্লাহ।

খায়ের আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, এ সময় খায়ের আবদুল্লাহকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় বরিশালবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আমির হোসেন আমু। একই সঙ্গে নগরবাসীর সেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে নবনির্বাচিত মেয়রের আগ্রহ ও আন্তরিক অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন তিনি।

Also Read: বরিশালে জয়ী আওয়ামী লীগের ২১ কাউন্সিলরের ১৩ জনই সাদিক আবদুল্লাহপন্থী

সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে খায়ের আবদুল্লাহ ৫৩ হাজার ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমকে পরাজিত করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট।

বরিশালের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর ক্রমে বরিশালের রাজনীতিতে একক প্রভাববলয় তৈরি হতে থাকে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর বরিশালের রাজনীতির প্রধান ব্যক্তি হয়ে ওঠেন আবুল হাসানাত। এতে আমির হোসেন আমু বরিশালে রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এ জন্য গত পাঁচ বছর বরিশালের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি।

Also Read: বরিশালের ‘পরীক্ষায়’ খায়েরের জয়

তবে এবারের সিটি নির্বাচনে খায়ের আবদুল্লাহ মনোনয়ন পাওয়ায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এরপর ২৯ এপ্রিল তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন আমির হোসেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি।  

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগে বরিশালের রাজনীতি হয়ে পড়েছিল এককেন্দ্রিক। এখন সে ধারা থেকে আওয়ামী লীগ বের হয়ে আসছে। এটা ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে।

এদিকে খায়ের আবদুল্লাহর জয়ে তাঁর বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সোমবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া সোমবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে নগর কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নবনির্বাচিত মেয়রকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।