হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার মৌলভি পুকুর পাড়ে
হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার মৌলভি পুকুর পাড়ে

ভোট গ্রহণের শুরুতেই চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চান্দগাঁওয়ের মৌলভি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচন বর্জন ও চলমান হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই এলাকার আরাকান সড়কে অবস্থান নেন বিএনপির প্রায় দেড় শ নেতা-কর্মী। এ সময় ভোট বর্জনের দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ সময় মিছিল করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার মৌলভি পুকুর পাড়ে

ঘটনাস্থলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাপ্রহরী প্রত্যক্ষদর্শী সুমন বড়ুয়া বলেন, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে মিছিলসহ বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা ভোট বর্জনের স্লোগান দিতে থাকেন ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ ছাড়া টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের একপাশে বিজিবির একটি দল অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা ছুড়লে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে তার জবাব দেন। প্রায় ৪৫ মিনিট অবস্থানের পর ঘটনাস্থল থেকে চলে যান বিএনপির লোকজন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তিনি জানেন না।

চান্দগাঁও থানার আরাকান সড়কটি পড়েছে চট্টগ্রাম-৮ আসনে। এই আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুজন নেতা ও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী। আরাকান সড়কের কাছাকাছি থাকা তিনটি ভোটকেন্দ্র হলো—হাজেরা তাজু ডিগ্রি কলেজ, হামিদিয়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আল হেকমা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

আরও পড়ুন

যারা ১৫ বছর বঞ্চিত করেছে, তাদের এক দিন বর্জন করুন: রিজভী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু

মিরপুরে ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকা,নৌকা ছাড়া অন্যদের এজেন্ট নেই

হরতালের সমর্থনে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ সকালে চান্দগাঁও থানার আরাকান সড়কে

সংঘর্ষের বিষয়ে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন ব্যাহত করার লক্ষ্যে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে বিএনপি। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটারদের ভয়ের কিছু নেই।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।