
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের এফবি আলী শাহ নামের মাছ ধরার একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুতুবদিয়া থেকে তিন নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে সাগরে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের উদ্ধারে দুটি জাহাজ কাজ করছে।
নিখোঁজ জেলে ও মাঝিদের মধ্যে আছেন আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা এলাকার মোহাম্মদ মোখতার, আখতার হোসেন, নুর মোহাম্মদ, মো. ফরিদ, মো. ইলিয়াস, মো. আরাফাত, মো. শাহীন, মো. ওসমান, মো. আজিজুল হক ও মো. আরজু। এ ছাড়া বাঁশখালী উপজেলার অজ্ঞাতনামা দুজন নিখোঁজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে এফবি মালেক শাহ, এফবি আল্লাহর দান ও এফবি আলী শাহ নামের তিনটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৪০ জন নিখোঁজ হন। পরে আশপাশের ট্রলারগুলো ২৮ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এফবি আলী শাহ ট্রলারের ১২ জন এখনো নিখোঁজ। ট্রলারডুবির ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিন শরীফ।
এফবি আলী শাহ ট্রলারের মালিক মনির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে আমার ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারের নিখোঁজ ১২ মাঝিমাল্লার এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের আওতাধীন সাঙ্গু স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের মালিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমাদের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের আট নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অভিযান চালাচ্ছে। বোট ও মাঝিমাল্লা নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সাগরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা জয় বাংলা নামের একটি জাহাজ নিয়ে তাঁদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।’