
সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। জেলা শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৯০ সেন্টিমিটার। এ সময় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৭১ মিলিমিটার।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, দুদিন ভারী বৃষ্টি হওয়াতে জেলার নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। তবে হাওরে এখনো পানি কম আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে একইভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ভাটিতে নামলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় (যেখানে পানি পরিমাপ করা হয়) আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৭৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ২ মিটার নিচে। গতকাল একই সময়ে এখানে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৮৮ মিটার। এখানে ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৯০ সেন্টিমিটার। বর্ষা মৌসুমে এখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।
শুধু সুরমা নয়, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদ যাদুকাটাতে উজানের ঢলের পানি নামছে। এখানেও পানি বেড়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের পাটনাই, কুশিয়ারা, নলজুর, চেলা, চলতি, রক্তি, বৌলাই, খাসিয়ামারাসহ সব নদীর পানি বাড়ছে। মূলত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হলে ভাটিতে থাকা সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তাহিরপুর উপজেলার লাউরেড়গড় এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল থেকে বেশি পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে উপজেলার হাওরগুলো ঢলের পানিতে ভরে গেছে। এভাবে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একইভাবে বৃষ্টি আরও দুদিন হতে পারে। ঢলের পানি নেমে হাওরে যাচ্ছে। এই বৃষ্টি সুনামগঞ্জের জন্য অনেকটা স্বাভাবিক। আমরা মনে করছি না সুনামগঞ্জে এতে বন্যা হবে।’