Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবা-ভাইয়ের পাশে সামিরার দাফন সম্পন্ন

সিলেটের দয়া‌মির এলাকায় শ‌নিবার বিকেলে সা‌মিরার লাশ নিয়ে যাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন মা–ভাইসহ স্বজনেরা

সিলেটের ওসমানীনগরে বন্ধ কক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের দিনই মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। ঘটনার ১১ দিন পর নিবিড় পরিচর্যা (আইসিইউ) কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)। আজ শনিবার বিকেলে বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত বুধবার দুপুরে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন সামিরার মা হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫)।

Also Read: সিলেটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা-ভাইয়ের পর চলে গেলেন সামিরাও

২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০), স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫), মাইকুল ইসলাম (১৭) ও মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাফিকুল ও মাইকুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওসমানীনগরের দয়ামির পারকুল মাদ্রাসা মাঠে সামিরার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ধিরারাই খাতুপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

Also Read: বন্ধ কক্ষে প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যু এখনো রহস্যে ঘেরা

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সামিরা ইসলামের গতকাল রাত একটার দিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। এর আগেও কয়েকবার সামিরার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। সামিরার কিডনি, লিভারসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করছিল না। তাঁকে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাসপাতালে রাখা হচ্ছিল। তবে গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, নিহত সামিরার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানাজা শেষে বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

Also Read: সিলেটে প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারটি গত ১২ জুলাই দেশে আসে। ঢাকায় অবস্থানের পর ১৮ জুলাই তাঁরা সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুরে ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী ছিলেন।