ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

সকালে দেশে ফিরলেন কাতারপ্রবাসী, সন্ধ্যায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গতকাল সোমবার দেশে ফেরেন কাতারপ্রবাসী আবুল বাসার (৪৮)। সকালে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আবুল বাসার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আবদুল মালেক। তিনি ২৪ বছর ধরে কাতারে ছিলেন।

আবুল বাসারের চাচাতো ভাই এনামুল হক জানান, পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে আবুল বাশার বড়। তাঁরা তিন ভাই কাতারে থাকতেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি দেশে ফিরে তাঁর একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরে আবার কাতার চলে যান। সেখানে কোনো কাজ না পেয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত জানালে স্ত্রী তাঁকে নিষেধ করেন। এরপর পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গতকাল সকালে তিনি দেশে ফেরেন।

এনামুল হক জানান, বাসে করে আবুল বাসার চৌমুহনীতে এসে স্ত্রীকে ফোন দেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আবুল বাসার বলেন, ‘আমি না এলে আমার লাশ হলেও বাড়ি যাবে।’ পরে তিনি চৌমুহনী রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আবুল বাসার হঠাৎ চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেললাইনে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়েন। ওই সময় কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা যান।

স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী লাকি আক্তার। তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চৌমুহনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।