
সিলেটের স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাহি ঈদগাহ ক্যাম্পাসের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে জানানো হয়, তিন সদস্যের এই কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পদ্মাসন সিংহকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে আছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসা থেকে আজমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় রাশেদ আহমদের ছেলে। আজমান এইচএসসি প্রাক্–নির্বাচনী পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে অংশ নিতে পারেননি। পরে ফলাফলে ওই দুটিসহ পাঁচটি বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়।
আজমানের মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে অনেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। নিহত আজমানের পরিবার পরদিন সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে।
এ ঘটনায় সহপাঠীরা বিক্ষোভে নামেন। তাঁরা আজমানের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ দাবি করে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও এক শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে ছয়টি বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ গতকাল এসব দাবি ও সংস্কার মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।