বাজার-বাসা জলমগ্ন, ডুবে আছে সড়কও
ভারী বর্ষণে কক্সবাজার পৌর এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়কসহ শহরের অন্তত ৩২টি পাকা রাস্তা ডুবে আছে বৃষ্টির পানিতে। রাস্তার দুই পাশের দোকানপাট, হাটবাজার ও বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে পানি। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ছিল গতকাল রোববারও।
পানিতে ডুবে থাকা সড়কে গতকাল দুপুরে প্রধান সড়কের বাজারঘাটা এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) উল্টে পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছেন। টমটমের চালক আসাদ উল্লাহ বলেন, সড়কের ওপর হাঁটুসমান পানি। নিচে বড় বড় গর্ত ও কাদার আস্তর। গর্তে চাকা আটকে গাড়ি উল্টে যায়। আগের দিন প্রধান সড়কের রুমালিয়াছড়ায় আরেকটি টমটম উল্টে ছয় যাত্রী আহত হয়েছেন।
টেকপাড়ার স্কুলছাত্রী সায়মা ইসলাম বলেন, সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলে না। তাই হেঁটে স্কুলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু সড়কের ওপর কাদামাটির আস্তরে পা পিছলে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হচ্ছে। ভিজে যাচ্ছে বই–খাতাসহ কাপড়চোপড়। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি ফোরামের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, টানা আধঘণ্টার বৃষ্টি হলেও শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ নালা-নর্দমা ভরাট থাকে ময়লা আবর্জনায়। ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা শহরের এ রকম অবস্থা দেখে হতাশ হন।
গতকালের বৃষ্টিতে শহরের এন্ডারসন রোড, পান বাজার সড়ক, বাজারঘাটা, রুমালিয়ারছড়া, তারাবনিয়ারছড়া, নুরপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়াসহ অন্তত ১৪টি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের বাসিন্দাদের কেনাকাটার অন্যতম প্রধান স্থান বড় বাজারে জমে আছে হাঁটুসমান পানি। লোকজন পানি মাড়িয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারছে।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তার কামাল বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। রাস্তাঘাটেরও বেহাল অবস্থা। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে দফায় দফায় নালা-কালভার্ট পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু পাহাড় কাটা বন্ধ না হওয়ায় তা পুনরায় ভরাট হচ্ছে এবং শহর জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন
-
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছেলের মৃত্যু, কান্না থামছে মা–বাবার
-
রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বাড়ল, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ
-
শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১৫ অভিযোগ, সুরাহা না পেয়ে প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
-
মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল: সাবেক দলের বিপক্ষে উইকেট যে কারণে কম
-
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ