পাভেল পার্থ, ব্রাজিল থেকে

সমাধানের প্যাকেজ বহু, কিন্তু কৃষকের কৃষি কোথায়

মনটা বিষন্ন ও ক্ষুব্ধ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতাকে ঐক্যবদ্ধ করার ডাক দিয়ে বেলেম কপ প্রেসিডেন্সি যে ‘বৈশ্বিক মুটিরাও’ (সম্মিলিত প্রচেষ্টা) ঘোষণার খসড়া করেছে সেখানে ‘কৃষক ও খাদ্য উৎপাদকের’ নাম নাই। আদিবাসী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী মানুষ, অভিবাসীদের নাম আছে। গতকাল পর্যন্ত এটি চূড়ান্ত হয়নি। একইদিনে ‘অ্যাকশন অন ফুড’ প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় কপ প্রেসিডেন্সির ‘টেকসই কৃষিতে প্রবেশাধিকার (অ্যাক্সেস টু সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার)’ দলের ব্রাজিল প্রতিনিধি সামি মানেস আদ্দিসি স্টেমবার্গ বলেছেন, কৃষিভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি করা হচ্ছে, যা ক্ষুদ্র কৃষক ও পারিবারিক কৃষিকে শক্তিশালী করবে। কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাকে জলবায়ু আলোচনার কেন্দ্রে আনতে বিশ্বনেতাদের অঙ্গীকার জরুরি।’

(অ্যাকসেস টু সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার)’ দলের ব্রাজিল প্রতিনিধি সামি মানেস আদ্দিসি স্টেমবার্গ বলেছেন, কৃষিভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি করা হচ্ছে, যা ক্ষুদ্র কৃষক ও পারিবারিক কৃষিকে শক্তিশালী করবে। কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাকে জলবায়ু আলোচনার কেন্দ্রে আনতে বিশ্বনেতাদের অঙ্গীকার জরুরি।

চিলির কৃষকনেতা গঞ্জালো মুনেজ আবোগায়ের গতকাল এক সভায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, নীতিনির্ধারকেরা কার্বন নিঃসরণের প্রধান উৎসগুলোকে পাশ কাটিয়ে এখন কৃষি ও মৎস্যকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য অভিযুক্ত করছেন। অথচ বিশ্বব্যাপী একমাত্র কৃষিই সবচেয়ে বেশি মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করছে এবং বিশ্বের আহার জোগান দিচ্ছে। কৃষির মাধ্যমে বিপুল কার্বন সঞ্চয় হয় মাটিতে। কৃষক জানেন প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে চলতে হয়।

১৭ নভেম্বর ব্লু জোনের বাইরে ‘কাসা মিয়া এভেনটেস’ নামের একটি ভেন্যুতে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর দ্য ফিউচার অব ফুড (গ্যাফ)’ ন্যায্য খাদ্যব্যবস্থার জন্য বৈশ্বিক মুটিরাও গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। কপের অ্যাকশন এরিয়াতে ১৮ নভেম্বর গ্যাফ আয়োজিত খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তরবিষয়ক এক সংলাপে ফিলিপাইনের এশিয়ান ফার্মারস ফেডারেশনের প্রতিনিধি এস্থার পেনুনিয়া বলেন, কৃষি ও কৃষকের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনা করে জলবায়ু অর্থায়নে কৃষকের সক্রিয় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

ইউএনএফসিসিসি ফার্মারস কনস্টিটিউয়েন্সি, ইউএনএফসিসিসি ইনডিজেনাস ককাস, ইন্টারন্যাশনাল ইনডিজেনাস ফোরাম অন বায়োডাইভার্সিটির মতো বৈশ্বিক পরিষদগুলো কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থার ন্যায্য ও সার্বভৌম রূপান্তর বিষয়ে নানাভাবে দাবি উত্থাপন করলেও এখনো বেলেম সম্মেলন কোনো অঙ্গীকার করেনি।

বদলে যাওয়া ‘সুভা দ্য টারডে’ কিংবা ‘আমাতি’

২০ নভেম্বর বেলেমের বার্গেনটিশয়া এলাকায় আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম একটি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা খামার (অ্যাগ্রোইকোলজি) দেখতে। তিন হাজার কৃষক পরিবারের ১৫টি কৃষক সংগঠন নিরাপদ প্রাকৃতিক কৃষির চর্চা করছে। তাদের একটি কৃষি বিদ্যালয় এবং ক্যাফে আছে। ভুট্টা থেকে তৈরি কোসকোস নামের খাবারটি এই ক্যাফেতে খুব জনপ্রিয়। তারা নিজেদের ‘ক্যাম্পোসিনো’ হিসেবে পরিচয় দেয়। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে দায়িত্বশীল কৃষক। ক্যাম্পোসিনো ভিনসেন্টি গেব্রিওরেলি এবং লুসিয়া হেইস জানান, বৃষ্টিপাতের ওপর তাঁদের চাষাবাদ নির্ভরশীল, কিন্তু এখন অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের ফলে ও গরম বাড়ায় তাঁদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। আগে শীতকালে প্রতিদিন বৃষ্টি হতো। গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন বেলা তিনটার দিকেও বৃষ্টি নামত। তিনটার বৃষ্টিকে তাঁরা ‘সুভা দ্য টারডে (দুপুরের বৃষ্টি)’ বলেন। সুভা দ্য টারডে বদলে যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পর বেলেম হয়ে উঠছে বিশ্বের উষ্ণতম শহর।

সঙ্গে সঙ্গেই নিজের খেরোখাতায় লিখে রাখা গ্লোবাল ল্যান্ডস্কেপ ফোরামের পরিচালক ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা নিবাসী কামাল সি প্রাউইরানেগারার বক্তব্যটি পড়লাম। অ্যাকশন অন ফুড হাবে অনুষ্ঠিত ১৭ নভেম্বরের এক সমাপনী অধিবেশনে তিনি বলেছিলেন, ‘নিরাপদ কৃষি ছাড়া এই উষ্ণতম সময়ে আমাদের হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই। একই সঙ্গে সুভা দ্য টারডের কথায় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের আষাঢ় মাসের “আমাতি বা অম্বুবাচির” কথা মনে পড়ল। আমাতির দিনে একটানা সাত দিন ঝরতে থাকা সেই বৃষ্টি এখন উধাও হয়েছে।’

পাভেল পার্থ

কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজিত ১৮ নভেম্বরের এক অধিবেশনে সংস্থাটির ‘জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণবৈচিত্র্য এবং পরিবেশ’ বিষয়ক পরিচালক কাভেহ জাহেদি কৃষি-খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর ও জলবায়ু কর্মসূচির জন্য জলবায়ু অর্থায়নের দরজা খোলার আহ্বান জানান। একই অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি নিক ব্লং, জাম্বিয়ার স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সেক্রেটারি গ্যাব্রিয়েল পোলেন আলোচনা করেন বৈশ্বিক উষ্ণতা, জীবাশ্ম জ্বালানি এবং সামাজিক বৈষম্যকে বিবেচনায় নিয়ে কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তর বিষয়ে।

ক্লাইমেট অ্যাকশন হাবে গ্লোবাল কার্বন কাউন্সিল আয়োজিত ১৭ নভেম্বরের এক আলোচনায় ব্রাজিলের লাগোস রাজ্যের এসডিজিবিষয়ক গভর্নর ড. ওভেলিয়্যুআ ফিন্নিহ আওকোয়া জলবায়ু অর্থায়নকে সবুজ অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক পরামর্শক পাওলা রিডলফি অর্থায়ন বিষয়ে আয়োজিত ১১ নভেম্বরের এক সভায় জানান, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু সংকট নিয়ে সতর্ক এবং উদ্বিগ্ন। অর্থায়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। ১৮ নভেম্বরের এক আলোচনায় জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ নীতি কর্মকর্তা ফ্রাউকি রিনেল্লি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে তাঁদের জলবায়ু সহযোগিতার উদাহরণ দেন। কিন্তু জলবায়ু সংকটের কারণে প্রবলভাবে ভঙ্গুর হতে থাকা বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থার সার্বভৌম রূপান্তরে এখনো বৈশ্বিক তহবিল নিশ্চিত হয়নি।

কৃষকের কৃষি কোথায়

জলবায়ু সম্মেলনে বহু কোম্পানি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা, বহুপক্ষীয় ব্যাংক, দাতা সংস্থা—বহুজন নানা ধরনের কৃষি উৎপাদন প্যাকেজ নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, রোগবালাই, কাঠামোগত বঞ্চনা আর বহুজাতিক নিয়ন্ত্রণ সামলে বিশ্বব্যাপী যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা পৃথিবীর আহার জুগিয়ে চলেছেন, তাঁদের অংশগ্রহণ নেই জলবায়ু সিদ্ধান্তের মঞ্চে।

রকফেলার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রক স্টেইনার ১৮ নভেম্বর ব্লু জোনে এক আলোচনায় বলেন, স্বাস্থ্যকর কৃষি মানেই স্বাস্থ্যকর খাদ্য। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তিনি পুনরুৎপাদনের কৃষি বিকাশের ওপর জোর দেন। রকফেলার ফাউন্ডেশনের কথায় পৃথিবীর কৃষিব্যবস্থাকে বিষাক্ত ও ছিনতাই করা সবুজ বিপ্লব প্রকল্প শুরুর নিদারুণ কাহিনি মনে পড়ে।

খাদ্যব্যবস্থার জন্য বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আলাপে চায়না কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেংগান ফান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাণিসম্পদের রোগবালাই ও ঝুঁকি বাড়ছে, আমাদের প্রোটিনের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে।’

জলবায়ু মঞ্চকে বহুজাতিক খবরদারিমুক্ত হতে হবে

জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে ব্রাজিলের এমব্রাপা রাজ্য আয়োজিত অ্যাগ্রিজোন পুরোটাই দখলে রেখেছে বায়ার এবং নেস্লের মতো বহুজাতিক কোম্পানি। ১৯ নভেম্বর অ্যাগ্রিজোনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় ব্রাজিলের কৃষি বন চর্চাকারী কৃষক কারিনা গঞ্জালেস ডেভিড বলেন, কৃষিকে বহুজাতিক কোম্পানির রাসায়নিক থেকে মুক্ত না করতে পারলে জলবায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষা হবে না।

পেস্টিসাইড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-এশিয়া প্যাসিফিকের (প্যানাপ) প্রতিনিধিরা ১৮ নভেম্বর অ্যাগ্রিজোনের সামনে দাঁড়িয়ে বায়ারসহ বহুজাতিক কৃষিবিষ কোম্পানিদের জলবায়ু মঞ্চ থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানান। প্যানাপের প্রতিনিধি ফিলিপাইনের আর্নল্ড প্যাডিলা এবং তেরেন্স কৃষ্ণা লোপেজ ক্ষোভ নিয়ে বলেন, কৃষকের কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাকে বিষ ও জিএমও বীজ দিয়ে বিষাক্ত করা যাবে না।

অ্যাগ্রিজোনে বায়ারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজশাহীর তানোরে তাদের এন্ট্রাকল বিষে ঝলসানো আলুর জমি আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে সিনজেনটার টমেটোবীজ ব্যবহার করে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রতারিত টমেটোচাষিদের কথা।

স্থানীয় জাত, লোকায়ত জ্ঞান এবং পারিবারিক কৃষির শক্তি

বুরকিনা ফাসোর কারনি এসথেয়ার পারিবারিক কৃষি নিয়ে কাজ করেন এবং প্রতিদিন নাশতার সময় সেই সব গল্প করেন। ১৫ নভেম্বর রাতে খাদ্যনীতি নিয়ে কর্মরত একটি আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে নামাতা নামের আমাজোনিয়ান এক রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে ব্রাজিলের কৃষি উন্নয়ন ও পারিবারিক কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থমাস কুপার প্যাট্রিওটার সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি জানান, খাদ্যব্যবস্থার ন্যায্য রূপান্তরের জন্য পারিবারিক কৃষি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফার্নান্দা মেকিয়াভেল্লি ১৮ নভেম্বর অ্যাকশন এরিয়াতে আয়োজিত এক সভায় কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা এবং পারিবারিক কৃষিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন।

বেলেম জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট সলিউশনস শেপিং রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকাশনাটিতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ধানের ক্ষেত্রে নাবি, খরা, লবণাক্ততা, বন্যা এবং চাপ সহনশীল জাত হিসেবে কেবল ব্রি ও বিনা প্রবর্তিত ‘উচ্চ ফলনশীল’ জাতগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ গচি, রাতা, নোনাখচি, রাঁধুনিপাগল, গ্যাল্লং, খবরক, মিমিদিম, চুরাক, দীঘার মতো বহু জলবায়ুসহিষ্ণু স্থানীয় ধান আছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ১৩ নভেম্বর আয়োজিত ‘প্যারিস চুক্তি এবং নিঃসরণ হ্রাস’ শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশের প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, স্থানীয় জাতগুলো খুব বেশি রেজিলিয়েন্ট (সহনশীল) কিন্তু সো কলড (তথাকথিত) হাইব্রিডগুলো নয়। দেশে প্রাণবৈচিত্র্যনির্ভর খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ জয়ী ব্রাজিলের বিখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী ম্যারিঅ্যাঞ্জেলা হাংগ্রিয়া কৃষিকে রাসায়নিকমুক্ত করতে মাটির অণুজীব বৃদ্ধি করার বৈজ্ঞানিক সমাধান দিয়েছিলেন। ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের প্রকৃতিবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি রুথ দাভিস এবং ব্রাজিলের ডেপুটি কৃষিমন্ত্রী ক্লেবার সোয়ারেস সিনথেটিক সারের পরিবেশগত প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে, সার তৈরিতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস করে এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা সক্ষম কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকারে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ‘সার বিষয়ে বেলেম ঘোষণা’ নিরাপদ কৃষির জন্য কিছুটা আশা ছড়াল। বিশ্বজুড়ে কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর প্রশ্নে বেলেম কী বার্তা দেয়, সেই অপেক্ষায় পৃথিবী।

পাভেল পার্থ: লেখক ও গবেষক

ই-মেইল: animistbangla@gmail.com