আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস

ঢাকায় টিকে আছে ১৩ লাখ গাছ

  • দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি হেক্টরে গাছ আছে ১৫টি, উত্তরে ৭টি।

  • সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে আম, মেহগনি ও নারকেলগাছ।

  • ১৩ লাখ গাছের আর্থিক মূল্য ১০৬ কোটি টাকা।

  • ঢাকার গাছের ৬২% বিদেশি প্রজাতির।

ঢাকায় একের পর এক ভবন হচ্ছে; নতুন নতুন স্থাপনা হচ্ছে। এর মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় আছে গাছ। সরকারের বন বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের করা এক বৃক্ষ জরিপ থেকে জানা গেছে, ঢাকার ৩০৬ বর্গকিলোমিটারে এখনো টিকে আছে ছোট–বড় প্রায় ১৩ লাখ গাছ।

ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৃক্ষ জরিপ হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরবান ট্রি ইনভেনটরি অব ঢাকা সিটি’। এতে আরও উঠে এসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গাছের ঘনত্ব বেশি। সেখানে প্রতি হেক্টর জায়গায় গড়ে গাছ রয়েছে ১৫টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা ৭টির মতো।

ঢাকা দক্ষিণে গাছ-আচ্ছাদিত জায়গার পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ঢাকা উত্তরে তা সাড়ে ১০ শতাংশ। বৃক্ষ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার টরন্টোয় প্রায় ২৭ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ৩৭ শতাংশ ও নিউইয়র্কে প্রায় ২১ শতাংশ এবং জাপানের শিকাগোয় ১৭ শতাংশের বেশি এলাকা গাছে আচ্ছাদিত।

এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।
বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো. জহির ইকবাল

ঢাকায় প্রতি সাতজনের বিপরীতে গাছের সংখ্যা একটি। এসব গাছ প্রতিবছর ঢাকা শহরের দূষিত বাতাস থেকে ৫৩৮ টন বস্তুকণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইডসহ ছয় ধরনের পরিবেশদূষণকারী উপাদান শুষে নেয়। বিপরীতে গাছগুলো বছরে সাড়ে ৫৩ হাজার টন অক্সিজেন জোগায়। ১৩ লাখ গাছের আর্থিক মূল্য ১০৬ কোটি টাকা।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো. জহির ইকবাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।’

প্রথমবারের মতো হওয়া বৃক্ষ জরিপ বলছে, ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে।

জহির ইকবাল আরও বলেন, নগর উন্নয়নে সবুজকে প্রাধান্য দিতে গেলে নগর–বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকা দরকার। এ গবেষণা নীতিনির্ধারকদের সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার পালিত হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয়।

কীভাবে হিসাব

বৃক্ষ জরিপ শুরু হয় ২০২২ সালে নভেম্বরে। উপাত্ত সংগ্রহ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল। এরপর উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত ও বিশ্লেষণ করা হয় এবং গবেষণা প্রতিবেদন লেখা হয়। সম্প্রতি এটি বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাটিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসএআইডি।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ঢাকা দক্ষিণের ৩৭০টি ও ঢাকা উত্তরের ৩৮৫টি, মোট ৭৫৫টি প্লট বেছে নেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান রিসার্চ সেন্টারের ‘আই–ট্রি ইকো টুল’ ব্যবহার করে গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। প্লট বেছে নেওয়া হয়েছে স্তরভিত্তিক দৈবচয়ন–পদ্ধতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট সার্ভিসের সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সহদেব চন্দ্র মজুমদার এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে আমরা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছি।’

কোন গাছ বেশি

ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে। বৃক্ষ জরিপে ঢাকায় কোন গাছ বেশি, তা–ও উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ১৩ লাখ গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে আম, মেহগনি ও নারকেলগাছ। আরও পাওয়া গেছে বট, কড়ই, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, অশ্বত্থ, মান্দার, গামার, রেইনট্রি, জারুল, সিন্দুরি, দেবদারু, কাঠগোলাপ, জামরুল, জাম, তেঁতুল, অর্জুন, সেগুন, বহেড়া, কাঠবাদাম, বাবলা, বড়ই, বার্মিজ শিমুল, পাতাবাহার, বরুণ, কর্পূর, তাল, কামরাঙা, কাঁঠাল, হিজল, নিম, বকুল, শজনে, কামিনী, কদম, শিউলি ইত্যাদি গাছ।

গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক কামাল হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার গাছের ৬২ শতাংশ বিদেশি প্রজাতির। সবুজায়নের পরিকল্পনায় সৌন্দর্যবর্ধনের গাছকে প্রাধান্য না দিয়ে আম, মেহগনি, জাম, সাদা কড়ই, কাঁঠাল ও কনকচূড়া প্রজাতির গাছ লাগানো যেতে পারে।

গাছগাছালিতে ভরপুর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা। গতকাল বিকেলে

মোট ১৩ লাখ গাছের মধ্যে ঢাকা উত্তরে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬০০টি; আর ঢাকা দক্ষিণে আছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ গাছ। গাছগুলো বছরে যে ৫৩৮ টন ক্ষতিকর উপাদান শুষে নেয়, তার মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৩১৯ টন এবং ঢাকা দক্ষিণের ২১৯ টন। যদি কৃত্রিমভাবে এসব ক্ষতিকর পদার্থ বাতাস থেকে অপসারণ করতে হতো, তাহলে ব্যয় করা লাগত প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সহদেব চন্দ্র মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, গাছ ইভাপোট্রান্সপায়ারেশনের (পানি বাষ্প হয়ে বায়ুমণ্ডলে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া) মাধ্যমে ক্ষতিকর বস্তুকণা আটকে দেয়। গাছের কাণ্ডে, পাতায় ও বাকলে ক্ষতিকর পদার্থ জমে বায়ুমণ্ডলকে বিশুদ্ধ রাখে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি বায়ু পরিষ্কারক গাছ হচ্ছে মেহগনি। এরপর রয়েছে কালো কড়ই, আম ও জামগাছ।

গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে আমরা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছি
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট সার্ভিসের সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সহদেব চন্দ্র মজুমদার

কতটুকু কমেছে সবুজ

বৃক্ষ জরিপ ঢাকায় যেহেতু প্রথমবার হলো, তাই এ জরিপ থেকে জানা যায়নি যে গাছে আচ্ছাদিত এলাকা বাড়ল না কমল। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা হয়েছে, সেখান থেকে গাছে আচ্ছাদিত এলাকা সম্পর্কে জানা যায়।

যেমন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনভায়রনমেন্টাল জার্নাল–এ ২০২২ সালে ‘প্রেজেন্ট স্ট্যাটাস অ্যান্ড হিস্টোরিক্যাল চেঞ্জেস অব আরবান গ্রিন স্পেস ইন ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক গবেষণায় বলা হয়, ১৯৮৯ সালে ঢাকা শহরে ১৭ শতাংশ এলাকা গাছে আচ্ছাদিত ছিল, যা ২০২০ সালে মাত্র ২ শতাংশে নেমেছে।

জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপির (ইউনাইটেড ন্যাশনস এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম) নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটি শহরের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ সবুজ অঞ্চল থাকা উচিত।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে বলেন, নগর–পরিকল্পনায় যে এলাকাগুলোকে সবুজ সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেগুলো সরকারি–বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দখল হয়ে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।

মোট ১৩ লাখ গাছের মধ্যে ঢাকা উত্তরে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬০০টি; আর ঢাকা দক্ষিণে আছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ গাছ। গাছগুলো বছরে যে ৫৩৮ টন ক্ষতিকর উপাদান শুষে নেয়, তার মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৩১৯ টন এবং ঢাকা দক্ষিণের ২১৯ টন। যদি কৃত্রিমভাবে এসব ক্ষতিকর পদার্থ বাতাস থেকে অপসারণ করতে হতো, তাহলে ব্যয় করা লাগত প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

গাছ কমে, গরম বাড়ে

পরিবেশবিদেরা বলছেন, গাছ ও জলাভূমি কমে যাওয়ায় ঢাকায় গরম বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে যেসব এলাকায় গাছ ও জলাভূমি বেশি, সেখানে গরম কম অনুভূত হয়। যেখানে গাছ ও জলাভূমি কম, সেখানে গরম বেশি লাগে। আবার ঢাকার আশপাশের জেলার চেয়ে ঢাকায় গড় তাপমাত্রা বেশি থাকে।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরে যত জনসংখ্যা ধারণ করতে পারে, তার তিন গুণ মানুষ এখানে বসবাস করেন। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবুজ এলাকা বাড়ানো উচিত ছিল, অথচ ঘটছে উল্টোটা। তিনি বলেন, ‘আগে ঢাকার সবুজের তিনটি লেয়ার (স্তর) ছিল। ঘাস, লতাগুল্ম ও গাছ। ঘাস আর লতাগুল্ম হারিয়ে এখন টিকে আছে কিছু গাছ। তা–ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কাটা পড়ছে।

ঘাস আর লতাগুল্ম ভূপৃষ্ঠের তাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকায় সবুজের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না নিলে তীব্র তাপপ্রবাহে নগরবাসীর সংকট আরও বাড়বে।

ঢাকাকে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বন বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে গত রোববার। এ সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তরের সড়ক বিভাজকের মধ্যবর্তী স্থান, ফুটপাত, খালের পাড় ও বনায়নযোগ্য জায়গায় বনায়ন করা হবে।

জানতে চাইলে প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের খোলা জায়গায়, মিডিয়ানে (সড়ক বিভাজকের মধ্যবর্তী স্থান) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বনায়নে সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের কারিগরি সহযোগিতা দেব। তারা খালি জায়গা আমাদের বনায়নের জন্য দিলে সেখানে আমরা “মিনি আরবান ফরেস্ট” (ছোট নগর বন) গড়ে তুলব।’

এর আগে ২০২৩ সালে এক লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি। অনেক গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছ টিকে আছে। কিছু মারা গেছে।

ছায়াঘেরা পথে হাঁটতে আনন্দ পাই।
সরকারি সংস্থার কর্মী শাহাদাত হোসেন

‘ছায়াঘেরা পথে হাঁটতে আনন্দ পাই’

গ্রীষ্মে ঢাকার অনেক রাস্তার ফুটপাত দিয়ে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, গাছ নেই, ছায়া নেই।

রাজধানীর মহাখালী–গুলশান লিংক রোডের সড়ক বিভাজকের মধ্যবর্তী স্থানে কয়েক বছর আগেও বড় কিছু গাছ ছিল। যেসব গাছের ছায়া পাওয়া যেত সড়কের দুই পাশে। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ২০২৩ সালে এসব গাছ কেটে ফেলা হয়।

মহাখালী–গুলশান লিংক রোডের আমতলী অংশে ১ জুন পাওয়া যায় সবজি বিক্রেতা গণি মিয়াকে। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে বড় বড় গাছ আছিল এইহানে। ছায়া পাইতাম। গরমে শান্তি লাগত। কয়েক বছর আগে সিটি করপোরেশনের লোকজন আইসা এসব গাছ কাইটা নিছে।’ তিনি বলেন, ‘গাছের ছায়ায় লোকজন দাঁড়াইত। বাসের জন্য অপেক্ষা করত। এহন আর হেই ছায়া নাই। মাইনসের খুব কষ্ট অইয়া যায়।’

ঠিক বিপরীত চিত্র রমনা এলাকায়। সেখানে গাছের ছায়ায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে মনে প্রশান্তি লাগে। এই সড়ক দিয়ে প্রায়ই হেঁটে নিজের অফিসে যান একটি সরকারি সংস্থার কর্মী শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছায়াঘেরা পথে হাঁটতে আনন্দ পাই।’