বিবৃতি
বিবৃতি

নারী সংবাদকর্মীর মৃত্যু: দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির

রাজধানীতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা স্ট্রিমের এক নারী কর্মীর ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এ দাবি জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, নারী সংবাদকর্মীর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অকালে আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা ব্যথিত, শোকাহত। তার এই মৃত্যু আমাদের আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, নারীর জন্য তার কর্মপরিবেশ কতখানি নিরাপত্তাহীন, নির্মম মানসিক নিপীড়নে আক্রমণাত্মক।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের প্রধান আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ‘ঢাকা স্ট্রিম’ কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সহকর্মীদের ভাষ্যমতে, এ ঘটনায় ওই নারী মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

নারী সংবাদকর্মীর মৃত্যু এ দেশের কর্মক্ষেত্রে সব নারীর প্রতিবন্ধকতাকে উন্মোচিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দায় ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। এর পেছনে দায়দায়িত্ব উন্মোচন করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্যদের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন আনু মুহাম্মদ, সামিনা লুৎফা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, নাজমুস সাকিব, ফেরদৌস আরা, সজীব তানভীর ও সীমা দত্ত।