দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

চট্টগ্রামের জাহাজভাঙা শিল্পের ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই অংশ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাব থেকে ‘অস্বাভাবিক লেনদেন’ এবং ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা ব্যবসার আড়ালে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলেছে।

আজ বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ, শওকত আলী চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল অঙ্কের অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে এলসির মাধ্যমে জাহাজ ভাঙার নামে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগের সত্যতা যাচাই প্রয়োজন।

অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট রেকর্ডপত্র চেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শওকত আলী চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা বা তাঁদের মালিকানাধীন বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা যেকোনো হিসাব বা স্কিমের ফরম ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, হিসাবগুলোতে সব লেনদেনের বিবরণী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের কপি, তাঁদের নামে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণের আবেদন, শাখার প্রস্তাব, অনুমোদন–সংক্রান্ত সব রেকর্ড এবং ঋণ হিসাবের তথ্য।

দুদক বলছে, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। অনুসন্ধান পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।