Thank you for trying Sticky AMP!!

পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান। এ সময় বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। আজ বেলা ১২টায়

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম-৮ আসনের চান্দগাঁও এলাকায় চার ঘণ্টার মাথায় আবারও বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতা-কর্মীরা। পরে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি যোগ দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয় নেতা-কর্মীদের।

বেলা একটার দিকে আশপাশের গলি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে গলির ভেতর সটকে পড়েন তাঁরা।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় বিএনপির কর্মীদের বিক্ষোভের সময় সাঁজোয়া যানে(এপিসি) পুলিশের অবস্থান। আজ বেলা ১২টায়

এর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় প্রথম সংঘর্ষ হয়। এর দুই ঘণ্টা পর আবারও সংঘর্ষ হয় একই এলাকায়। সরেজমিন মৌলভী পুকুরপাড় থেকে পাঠানিয়া গোদা পর্যন্ত পুরো এলাকায় ইটপাটকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন স্থানে টায়ারও পোড়নো হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, সিঅ্যান্ডবি এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়েই দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন তাঁরা।

বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনী ও র‍্যাব। এরপর এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কেউ এ বিষয়ে বক্তব্য দেননি।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও ভোট বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন। সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি।’

আরও পড়ুনঃ

পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান। এ সময় বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। আজ বেলা ১২টায়

সংঘর্ষ যে স্থানে হয়েছে, এর পাশেই হাজেরা তজু কলেজ ভোটকেন্দ্র। বেলা দেড়টার দিকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় প্রিসাইডিং অফিসার মো. আবুল মুনছুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, কেন্দ্রটিতে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮১। বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিন শতাধিক ভোট পড়েছে। সংঘর্ষের কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার পর ভোটার উপস্থিতি কমে যায়।