
তিন দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডাকসু।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ ওসমান হাদি হল করা, ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন করে ফেলানী হল এবং জুলাই গণহত্যার সমর্থন দেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।’
আগামীকাল রোববার বেলা আড়াইটায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফটকে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়। পরে হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ নামকরণের ঘোষণা দেন হল সংসদের নেতারা।
সে সময় হল সংসদের সহসভাপতি মো. মুসলিমুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের শরিফ ওসমান হাদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। যাঁদের হাতে তিনি শাহাদতবরণ করেছেন, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টরা বর্তমানে দিল্লিতে পালিয়ে রয়েছেন। এই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারণেই আমরা তাঁর নাম বাদ দিয়ে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে হলের নামকরণ করতে চাই।’
অবশ্য এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’ নামকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন একদল শিক্ষার্থী।
এদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে এই হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহুল জান্নাত রিফাত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাম পরিবর্তন নিয়ে আমরা একমত ছিলাম এবং সেটি নিয়ে আমাদের হলের অভ্যন্তরীণ গ্রুপে আমরা মেয়েদের মতামতও সংগ্রহ করছিলাম। তবে ডাকসুর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই পোস্ট দেওয়ার আগে আমাদের হল সংসদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
মিফতাহুল জান্নাত লিখেছেন, ‘হলের নাম নিয়ে মেয়েদের সিদ্ধান্তসহ সামগ্রিক সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তাদের চাওয়া ও আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমার হলের কারও সঙ্গে কথা না বলে ডাকসু এই পোস্টটি করেন। এর কোনো উত্তর কারও কাছে আছে?’
হলের নাম নিয়ে ভোটাভুটিতে ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম নামে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে মিফতাহুল জান্নাত লিখেছেন, ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম একজন বীর প্রতীক। ছাত্রীরা চেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখা, বাংলার নারীদের লড়াইয়ের প্রতীক হওয়া নারীদের নামে তাদের হলের নাম হোক।
মিফতাহুল জান্নাত আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া অপশনটি ছিল ফেলানী হল। চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা এই দুইটি নাম নিয়েই কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। তবে এই ধরনের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর নিন্দা জানাই।’