
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সঙ্গে এবারের মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী–সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান বক্তারা এসব দাবি জানান।
কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে বইমেলা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত মানে না। তারা (সরকার) জানিয়েছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো ফোর্স তাদের নেই। সরকারের লাখ লাখ লোক আছে প্রতিরক্ষা দেওয়ার মতো। সেখানে মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন ৪ থেকে ৫ হাজার দেওয়া যাবে না।
বৈষম্য বিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারী বলেন, এখন সংস্কৃতির নামে ড্রোন শো হয়, কিন্তু বইমেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় সবটাই মন্ত্রণালয় চালায়।
একাডেমি ডিসেম্বরে মেলা করতে চায় বই বাণিজ্য করার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হতে হবে। একই সঙ্গে মেলার স্টল ভাড়া কমাতে হবে।
উদীচীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, মনে হচ্ছে বইমেলা না হলে সরকার বেঁচে যায়। শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। এসব তো হাসিনার নীতি। তিনি বলেন, সরকারকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবি নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রকাশক দেলওয়ার হাসান, একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, চারণের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ভাসানী পরিষদের হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন সংস্কৃতিজন। তাঁরা সবাই ২০২৬ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে দশজন প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।