ঘূর্ণিঝড় মোখা

মাঝরাতে বৃষ্টি সেন্টমার্টিনে, বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত

নৌযানগুলো সাগর থেকে নিরাপদ স্থানে তোলা হচ্ছে
ছবি: গিয়াস উদ্দিন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সেন্টমার্টিনে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

এর আগে রাত নয়টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্বীপের বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া বার্তা পাওয়ার পর দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

মজিবুর রহমান আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাড়ে ছয় শতাধিক মানুষ টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁরা সেন্টমার্টিন ছেড়ে গেছেন, তাঁদের অধিকাংশই টেকনাফের বিভিন্ন হোটেলে রাত যাপন করছেন।

নূর মোহাম্মদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করে রাতে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করায় দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার পরিস্থিতি ভালো থাকলে সার্ভিস ট্রলারে করে আরও কিছু মানুষকে দ্বীপ থেকে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে জোয়ারের পানিতে দ্বীপের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিত্রাংয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ জন্য অরক্ষিত (বেড়িবাঁধবিহীন) সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাসিন্দারা বেশি আতঙ্কগ্রস্ত।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর কিছু লোকজন কান্নাকাটি করছেন এমন খবর স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি টেলিফোনে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।